• ১৭ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ


ধর্মপাশায় কাতার প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর করে স্বর্ণের চেইন ছিনতাই,থানায় লিখিত অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত অক্টোবর ১১, ২০২৪, ১৬:০৭ অপরাহ্ণ

ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বৌলাম গ্রামের বাসিন্দা কাতার প্রবাসী ইয়ামিন হাসানের স্ত্রী বিউটি আক্তার (৩৫) কে চড়,থাপ্পর ও কিল-ঘুষি মেরে তাঁর গলা থেকে আধাভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। আহত ওই নারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় আহত ওই নারী বাদী হয়ে একই গ্রামের বাসিন্দা ভাশুড়ের ছেলে আল আমিন (৪০)সহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১০-১২জনকে আসামি করে ধর্মপাশা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এলাকবাসী ও মারধরে আহত ওই নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বৌলাম গ্রামের বাসিন্দা ইয়ামিন হাসান (৪২) কাতার প্রবাসী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সেখানে বসবাস করে আসছেন। তাঁর আপন বড় ভাইয়ের ছেলে আল আমিন (৪০)। কাতার প্রবাসী তাঁর নিজ বাড়ির পূর্ব পাশে ৪/৫মাস আগে দলিলমূল্যে চারশতক জায়গা ক্রয় করেন। ওই প্রবাসীর স্ত্রী বিউটি আক্তার সেখানে দুই সপ্তাহ আগে খুঁটি পুতে বাঁশের মাছা তৈরি করে সেখানে ১০/১২টি লাউ গাছ লাগান। শুক্রবার সকাল আটটার দিকে আল আমিন,তাঁর ছোট বোন মনিয়া আক্তার (২৭) ও তাঁর স্বামী মজিবুর রহমান (৩৮) ১০-১২জন লোক নিয়ে ওই লাউগাছ উবড়ে ফেলে দিয়ে এটির মাছা ভেঙে ফেলে সেখান থেকে মাটি উত্তোলন করে পাশের একটি গর্ত ভরাট করতে শুরু করেন। খবর পেয়ে বিউটি আক্তার সেখানে গিয়ে মাটি কাটার কাজে বাধা দিলে এ নিয়ে সেখানে থাকা লোকজনদের সঙ্গে তাঁর তর্কবিতর্ক হয় ৷ এক পর্যায়ে আল আমিন,তার ছোট বোন ও বোনের জামাই তাঁকে চড়,থাপ্পড় ও কিলঘুষি মেরে তাঁর গলায় থাকা আধাভরি ওজনের স্বর্ণের চেইনটি তাঁরা ছিনিয়ে নেয়। মারধরে কাতার প্রবাসীর স্ত্রী মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁকে তাঁরা ঝাপটে ধরে এবং আল আমিন তাঁকে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্ঠা করলে চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। এ সময় আল আমিন ও তার লোকজন সেখান থেকে সটকে পড়েন । পরে আহত ওই নারীকে তাঁর স্বজনেরা ওইদিন দুপুরে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে প্রাখমিক চিকিৎসা নেন।
এ ঘটনায় আল আমিন, মনিয়া আক্তার ও মজিবুর রহমানের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
আহত ওই নারী বলেন,আমার ভাশুড়ের ছেলে আল আমিন,ভাশুড়ের মেয়ে মনিয়া ও তাঁর জামাই মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.এনামুল হক বলেন, এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি।তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#

১১.১০.২০২৪