হিজলা প্রতিনিধি।। বরিশালের হিজলায় আন্তজেলা ডাকাত দলের অন্যতম হোতা চিহ্নিত গরু চোর, হত্যা চুরি ডাকাতিসহ দুই ডজন মামলার আসামি রতন রাড়ি (বোবা রতন) এর আস্তানায় বিক্ষুব্ধ জনতার হানা। ছেলে ভাতিজা জামাই সহ আটক ৫ জন।
স্থানীয় খালেক দেওয়ান জুনু মাঝি ইউনু সারদার এর নেতৃত্বে চিহ্নিত এই ডাকাত চক্রকে ধরতে সক্ষম হয়েছে।
জানা যায় গত ২২ অক্টোবর মধ্যরাতে রতন রাড়ি ও তার ছেলেদের নেতৃত্বে হিজলা গৌরবদি ইউনিয়নের চর হিজলা বাজার লুট করার চেষ্টা চালায়। এ সময় স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে মাইকিং করে লোকজন জড়ো হয়। এক পর্যায়ে রতন রাড়ি, তার দুই ছেলে, জামাই, ভাতিজা সহ পাঁচজনকে আটক করে স্থানীয়রা।
এরপর রতন বাড়ির আস্তানায় গিয়ে স্থানীয়রা দুটি চোরাই গরু উদ্ধার করে।
স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের পঞ্জবিত ক্ষোভ এই চক্রের হাত পা এমনকি চোখ উৎপটন করবে। কিন্তু হিজলা থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্তলে ছুটে যায়। হাজারো জনগণের হাত থেকে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করে চোর চক্রকে থানা পুলিশ নিয়ে আসে।
আটককৃত চিহ্নিত আন্তজেলা ডাকার দলের সর্দার প্রায় দুই ডজন মামলার আসামি রতন রাড়ি (বোবা রতন), ছেলে মাইদুল, উজ্জ্বল ভাতিজা কামাল ও জামাই মোহাম্মদ আলী।
ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর হিজলা উপজেলার চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় লুট এবং চুরি হয় প্রায় ৬ শতাধিক গরু।
যার অধিকাংশই রতন রাড়ি ও তার ছেলেদের নেতৃত্বে।
সেই খবর জাতীয় দৈনিক সহ আঞ্চলিক পত্রিকায় ফলাউ করে প্রকাশিত হয়েছে।
রতন বাড়ির নিত্যদিনের কাজ হচ্ছে গরু চুরি সহ নানা অনৈতিক কাজ করা।
বছর দুই আগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাজাহান আলীর নেতৃত্বে ওই আস্থানা থেকে ৮৪টি চোরাই গরু মহিষ উদ্ধার করা হয়েছিল।
রতন রাড়ি ও তার ছেলেরা ২০১২ সালে স্থানীয় ইউপি সদস্য বিএনপি নেতা নান্টু ব্যাপারীকে দিন দুপুরে হত্যা করে।
এরপর স্থানীয়রা রতন রারীসহ তার পরিবারের বারোটি ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়।
তিন বছর পরে ধুলখোলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মকবুল আহমেদ দপ্তরির সেল্টারে আবারো মাটিয়ালা নামক আস্তানা টি দখল করে নেয়।
স্থানীয় খালেক দেওয়ান সংবাদ কর্মীদের জানান এদেরকে পুলিশে দিয়ে কোন লাভ নেই। শত শত বার পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। কয়েকদিনের মাথায় এসে একই কাঁধে লিপ্ত হয় এবং এলাকার জনগণকে প্রাণনাশের হুমকি সহ নানা ভয় ভীতি দেখায়।
রতন বাড়ির আস্তানায় রাতের বেলায় পুলিশ যেতে আতঙ্ক বোধ করে।
আটককৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে হিজলা থানায় পৃথক পৃথকভাবে দুটি মামলা এজাহার হয়েছে। তার একটি বাদী এসআই মনিরুজ্জামান। অপরটির বাদী স্থানীয় নাসির দেওয়ান। মামলা তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এসআই আরাফাতকে।
সদ্য যোগদানকারী হিজলা থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম জানান চোর চক্র সমূলে উৎপাটন করা হবে। এদের প্রত্যেকের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।