• ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গৃহবধূর একসাথে তিন ছেলের জন্ম, ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত দরিদ্র দম্পতি

report71
প্রকাশিত অক্টোবর ২৭, ২০২৪, ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ণ
গৃহবধূর একসাথে তিন ছেলের জন্ম, ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত দরিদ্র দম্পতি

আসাদুল ইসলাম, গাইবান্ধা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আকলিমা বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধূ একসাথে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। জন্ম নেয়া তিনজনেই ছেলে সন্তান। বর্তমানে মা ও নবজাতকেরা সুস্থ আছেন।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের রামডাকুয়া আদর্শগ্রামে (গুচ্ছগ্রাম) নিজ বাড়িতে তিন নবজাতকের জন্ম হয়। ভোররাতে হঠাৎ প্রসব বেদনা উঠলে এক পল্লী চিকিৎসকের সহযোগিতায় স্বাভাবিক প্রসবে তিন সন্তানের জন্ম দেন ওই গৃহবধূ।

গৃহবধূর আকলিমা বেগম ওই গ্রামের ফখরুল ইসলামের স্ত্রী।

গৃহবধূর স্বামী ফখরুল ইসলাম পেশায় জেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাছ বিক্রি করে সংসার চালিয়ে আসছেন। একসাথে তিন সন্তান জন্মের পর খুশি হলেও তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত আকলিমা-ফখরুল ইসলাম দম্পতি। এই দম্পতির ঘরে ফাতেমা আকতার নামে ৭ বছরের এক মেয়ে ও আলী আজগর নামে ৫ বছরের এক ছেলে রয়েছে।

নবজাতকদের বাবা ফখরুল ইসলাম বলেন, নিজের সম্পদ বলতে কিছুই নেই। গুচ্ছগ্রামের একটি ঘরে বসবাস করি। নদী-নালায় মাছ ধরে তা বিক্রির আয় দিয়েই চলে সংসার। এখন জন্ম নেয়া তিন নবজাতকসহ সাত সদস্যের সংসার চলবে কি করে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। তবে সুস্থভাবে সন্তানদের বেঁচে থাকতে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।

তিনি আরও বলেন, সন্তানদের চিকিৎসার জন্য সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেছিলাম। সেখানে তাদের ভর্তি না নিয়ে রংপুর হাসপাতালে যেতে বলেছে। গরীব মানুষ টাকা-পয়সা নাই তাই বাড়িতে নিয়ে এসেছি।

এদিকে, একসাথে তিন কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়ায় পরিবার ছাড়াও খুশি প্রতিবেশীসহ আশপাশের মানুষজন। তিন নবজাতকের জন্মের খবর ছড়িয়ে পড়লে সকাল থেকে তাদের এক নজরে দেখতে আসছেন মানুষ, অনেকেই তাদের ছবি তুলছেন।

বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্যাহ বলেন, সংবাদ পেয়ে দেখতে গিয়েছিলাম। তিন নবজাতককে দেখে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেছি। পাশাপাশি বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার কাজী মো. আবু আহসান বলেন, তারা এসেছিলেন। ভর্তি করে চিকিৎসাও দেয়া হয়েছে। পরিপূর্ণ চিকিৎসা দিতে গেলে আইসিইউ এর দরকার। কিন্তু তা এখানে নেই। তাই তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে বলা হয়েছে।