বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীকে একসাথে বসতে বাধ্য করার বিষয়ে সম্প্রতি এক অভিযোগ উঠেছে, যেটিকে অবান্তর বলছেন এই বিভাগের শিক্ষার্থীরাই।
জানা যায়, ২৯ অক্টোবর রোজ মঙ্গলবারে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ইংরেজি বিভাগের সৌম্য সরকারকে নিয়ে অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক একজন শিক্ষার্থী। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে নবীন ব্যাচের ক্লাস চলাকালীন সৌম্য সরকার ক্লাসে আগমন করে শিক্ষার্থীদের আদেশ দেন যেন, ক্লাসরুমে উপস্থিত ছেলে এবং মেয়ে শিক্ষার্থীরা যেন নিজেদের পৃথক বসার জায়গা থেকে সরে একসাথে মিলে বসে। এসময় তিনি হুমকি দেন যে, শিক্ষার্থীরা এই আদেশ না মানলে উনি ক্লাস নিবেন না।
তার এ অভিযোগকে অস্বীকার করেছে স্বয়ং নবীন ব্যাচের অধিকাংশ শিক্ষার্থী। এছাড়া উক্ত বিষয়টি সামাজিক গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে “সৌম্য সরকার ছেলে-মেয়েকে একসাথে বসতে বাধ্য করেন, এ বিষয়ে আপনি একমত কি না?” এ সংক্রান্ত এক হ্যাঁ-না জরিপে দেখা যায় জরিপে অংশগ্রহণকারী ১৮৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৮৬ জন শিক্ষার্থী না তে ভোট দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শুক্লা সাহা বলেন, “স্যার একজন মুক্তমনা, যৌক্তিক এবং সৃজনশীল মানুষ। সব সময় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ান। তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সাথে সাথে যারা ইংরেজি বিভাগের মধ্যে নষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে অফিশিয়ালি স্টেপ নেয়ার আহবান জানাচ্ছি।”
একই বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান নিহা বলেন, “ঘটনার দিন আমি ক্লাসে উপস্থিত ছিলাম। স্যার আমাদের একসাথে বসতে কোনরকম বাধ্য করেননি বা হুমকি দেননি।”
এ বিষয়ে সৌম্য সরকার বলেন, “দেখুন, সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি (কারণ আমি ফেইসবুক ব্যবহার করি না)। আমার প্রাক্তন এক শিক্ষার্থী তার মত দিয়েছে। কেউ সেটার বিরোধিতা করেছে, কেউ আবার “অভিযোগ” সমর্থন করেছে। তারা তাদের মতো করে উন্মুক্ত ভাবে কথা বলছে, বলুক। মুক্ত কথা বলাতেই আমি বিশ্বাস করি। আমার একটা শিক্ষাদর্শন আছে, সে অনুযায়ী আমি ক্লাসে বা ক্যাম্পাসে কাজ করি, যার যার সম্মানজনক অবস্থানকে মূল্য দিয়ে। ক্লাসের যে অরগ্যানিক আবহ থাকে সেখানেই সেটা বোধহয় বোঝা যেতে পারে। শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক বোঝাপড়াটা আমার কাছে জরুরি। বন্ধুসুলভতা তৈরি হয় এমন পরিবেশ তৈরি করাটা শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব মনে করি।
###