যবিপ্রবি প্রতিনিধি:
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) অনুজীববিজ্ঞান বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. সেলিনা আক্তারকে অপমানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার দাবি জানান তারা।
মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) দুপুর ১২ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচে অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয় । এসময় শিক্ষার্থীরা ‘সমন্বয়ক তো বিলুপ্ত নতুন হায়েনার রাজত্ব’, ‘নেমপ্লেট ভাঙলো কারা? সন্ত্রাসীদের দোসর যারা’, ‘সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘শিক্ষকের লাঞ্চনা মানি না মানব না’, ‘শিক্ষকদের অপমান শিখিয়েছে কোন শয়তান’, ও ‘সমন্বয়কের লেবাসে ছাত্রলীগ কেন ক্যাম্পাসে’ সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে।
এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে আসেন। তবে আন্দোলনকারীদের শান্ত করতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান তাঁরা। এরপর প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
অনুজীববিজ্ঞাণ বিভাগ ক্লাবের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন , বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে যে সকল সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী যারা আমাদের বিভাগে এসে শিক্ষকের নেমপ্লেট খুলে ফেলার মতো সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে এবং সম্মানিত শিক্ষকদের হুমকি দিয়েছে তাদের বিচার করতে হবে। এছাড়া এসব সমন্বয়ক নামধারী কর্তৃক শিক্ষকের নেমপ্লেট খোলা ও আমাদের শিক্ষক লাঞ্চনাকারীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা আছেন তাদেরকে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ঢালাও ভাবে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রমাণ ছাড়া মব জাস্টিস বন্ধ করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচির এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি ও তোমাদের তিনটি দাবিদাওয়া পেয়েছি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
উল্লেখ্য, যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনকে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে তাঁর ছবি পদদলিত করেছে যশোর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ সহ শিক্ষার্থীরা। এ সময় ড. আনোয়ার হোসেনকে অনুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সেলিনা আক্তার সরাসরি শিক্ষক দাবি করে লিফটের দরজার সামনে ফ্লোর থেকে সাবেক উপাচার্যের ছবিটি তুলে নেন। এর প্রেক্ষিতে ড. সেলিনা আক্তারের অফিস কক্ষের নেম প্লেট খুলে ফেলে তারা।