• ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্মপাশার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধর করে দুটি মোবাইল,নগদ টাকা ও হাতঘড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

report71
প্রকাশিত নভেম্বর ৯, ২০২৪, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ

মোবারক হোসেন রুবেল,
ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোকাররম হোসেন তালুকদার (৪৩)কে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি,চর ও লাথি মেরে আহত করে নগদ এক লাখ টাকা, দুটি এনড্রয়েড মোবাইল ফোন ও একটি হাতঘড়ি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য চন্দন খান (৩৫) ও তাঁর লোকজন এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধর্মপাশা উত্তরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মারধরে আহত ওই ইউপি চেয়ারম্যান ওইদিন রাতেই ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মারধরে আহত ওই ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন তালুকদার (৪৩) ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। উপজেলা সদরের ধর্মপাশা উত্তরপাড়া গ্রামে থাকা ওই ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত চেম্বারে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তিনি বসে ব্যক্তিগত কাজ করছিলেন। এ সময় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য চন্দন খানের (৩৫) নেতৃত্বে মোটরসাইকেল যোগে তাঁর ৪০/ ৫০জন লোক ওই চেম্বারের সামনে আসেন। পরে চন্দন খানসহ ৪/৫জন অতর্কিতভাবে চেম্বারে ঢুকে তাঁকে কিল-ঘুষি ও চর লাথি মারতে শুরু করেন। তাঁরা ওই চেয়ারম্যানকে টেনে হিঁচড়ে তাঁর ব্যক্তিগত চেম্বার থেকে বের করে চেম্বারের সামনে থাকা সড়কে নিয়ে এসেও প্রকাশ্যে কিল-ঘুষি ও চর-লাথি মারেন। আশপাশে বসবাসকারী কয়েকজন নারী এগিয়ে এসে তাঁকে রক্ষা করেন। পরে তাঁরা সেখান থেকে চলে যান।
সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান মেকাররম হোসেন তালুকদার জানান, তিনি উপজেলার ধারাম জলমহালটির ইজারা পাওয়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির পক্ষে অর্থনৈতিক বিনিয়োগকারী হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। ওই জলমহালটি তাঁদের নামে লিখে দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য বেশ কিছুদিন ধরে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য চন্দন খান (৩৫) ও তাঁর লোকজন নানা ভাবে তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করে আসছিলেন। এতে তিনি সম্মত না হওয়ায় এবং হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ কেটে মাছ শিকার করার প্রতিবাদ করায় চন্দন খানের নেতৃত্বে ৪/৫জন তাঁর ব্যক্তিগত চেম্বারে ঢুকে তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও চর লাথি মারতে থাকেন। তারা টেবিলের ওপর শপিং ব্যাগে থাকা এক লাখ টাকা,টেবিলের উপর রাখা দুটি মোবাইল ফোন ও হাতে থাকা হাত ঘড়িটি ছিনিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে তাঁরা তাঁর পরিহিত পাঞ্জাবিটি ছিড়ে ফেলে এবং চেম্বারের বাইরে টেনে হিচরে এনে প্রকাশ্যে মারধর করেন। স্থানীয় কয়েকজন নারী এগিয়ে এসে তাঁকে রক্ষা করেন। ঘটনার পর থেকে ঘটনায় জড়িতরা ধর্মপাশা থানা এলাকায় অবস্থান নেওয়ায় তিনি থানায় গিয়ে মামলাও করতে পারছেন না।
অভিযুক্ত চন্দন খান তিনি ও তাঁর লোকজনদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, আমার নেতৃত্বে লোকজন নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধর করা, টাকা নেওয়া, মোবাইল নেওয়া,ঘড়ি ছিনিয়ে নেওয়া এবং জলমহাল লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগটি ভিত্তিহীন। আমি নিজেও ফসলরক্ষা বাঁধ কেটে মাছ শিকারের ঘোর বিরোধী। মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আমাকে ও আমার লোকজনকে ওই ইউপি চেয়ারম্যান বিপদে ফেলার পায়তারা চালিয়ে আসছেন।
ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, এ সংক্রান্ত কোনো লিখিত অভিযোগ আমি এখনো পাইনি।#
০৯.১১.২০২৪