স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে জমিজমার বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৫০ আহত ৫০ জন হয়েছে। এসময় ২২টি বাড়িঘর ও দোকান ঘর ভাংচুর লুটপাট ও ১টি ইজিবাইক ভাংচুর করা হয়েছে। এছাড়াও ২টি গরু লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আহতদের উদ্ধার করে গুরুতর আহত ১০জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ এবং বাকী আহতদের মুকসুদপুর, ভাঙ্গা ও রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়ছে।
আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের ফতেপট্রি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
মুকসুদপুরের সিন্দিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাকিবুল ইসলাম উজ্জল জানান, ফতেপট্রি গ্রামের তারা মোল্যা ও মিজান মোল্লা মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষের ৫০ জন আহত হয়। এসময় ২২টি বাড়িঘর ও দোকান ঘর ভাংচুর লুটপাট ও ১টি ইজিবাইক ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও সোবাহান খানের প্রায় ৩ লাখ টাকা মূল্যের ২টি গরু ও আরব আলীর একটি মটোর সাইকেল লুট করা হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গুরুতর আহত ২০জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ এবং ভাঙ্গা ও, রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে এবং এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ভুক্তোভোগী সোবাহান খান জানান, মিজানুর মোল্যা, ফিরোজ খান, সুর্য্য মোল্যা, কিবরিয়া মোল্যাসহ প্রায় শতাধিক লোক জমিজমার বিরোধের জেরে আমাদের উপর হামলা চালায়। পরে তারা আমার বাড়ি ঘর, দোকান ঘর ভাংচুর করে, আমার বাড়িতে থাকা দুটি গরু লুট করে নিয়ে যায়।
ভুক্তোভুগি আব্দুল আলী মোল্লা জানান, আমার বাড়ির ঘর ভাংচুর করেছে। ঘরে থাকা নগদ ১৫ হাজার টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। এছাড়াও বিল্ডিং ভেঙ্গে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে।