• ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাগরে পুণ্যানের মধ্য দিয়ে বরগুনার তালতলী শুভ সন্ধ্যায় শেষ হলো রাস উৎসব।

report71
প্রকাশিত নভেম্বর ১৫, ২০২৪, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ
সাগরে পুণ্যানের মধ্য দিয়ে বরগুনার তালতলী শুভ সন্ধ্যায় শেষ হলো রাস উৎসব।

সোহাগ হাওলাদার, বরগুনা:
সাগরে পুণ্যানের মধ্য দিয়ে বরগুনার তালতলীর শুভ সন্ধ্যায় শেষ হলো রাস উৎসব। সূর্যের আলো ফোটার আগেই শুভ সন্ধ্যার সৈকতে শতশত সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ সমবেত হতে থাকে এবং সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাস উৎসবে আসা পুণ্যার্থীরা সূর্য দেবতাকে প্রনাম জানিয়ে ও উলুধ্বনি দিয়ে সাগরে পুণ্যস্নানে নেমে পড়েন। পুণ্যলাভের আশায় এবং পরলোকে যাওয়া স্বজনদের আত্মার শান্তি কামনায় সাগর পাড়ে প্রার্থনা করেন সনাতন ধর্মালম্বীরা।
পুণ্যার্থীরা মোম ও আগরবাতি জ্বালিয়ে অর্ঘ্যদান করেন গঙ্গাদেবীকে। পরে ধর্মীয় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তালতলীর শুভ সন্ধ্যায় শেষ হয় রাস উৎসব। এবারের রাস উৎসবে শতশত পুণ্যার্থী, দর্শনার্থী ও পর্যটক এসেছিলেন বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতে।
রাস উৎসবকে ঘিরে পুণ্যার্থী ও পর্যটকদের উপস্থিতিতে দীর্ঘ সৈকত মুখর হয়ে ওঠে। এ ছাড়া রাস মেলায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান, আলোচনা সভাসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল পুণ্যার্থী ও পর্যটকদের জন্য। তালতলীর শুভ সন্ধ্যার রাস উৎসব এখন সর্বজনীন লোকোৎসবে পরিণত হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ অন্য ধর্মাবলম্বীরাও এ উৎসব উপভোগ করতে আসেন।

এর আগে রাস উৎসবকে ঘিরে গতকাল রাতে তালতলীর শ্রীশ্রী কালীমাতা মন্দির প্রঙ্গণে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। রাস উৎসব কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ তালতলী উপজেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক রতন বিশ্বাস বলেন, এবার শতশত নারী-পুরুষ শুভ সন্ধ্যায় পুণ্যানে অংশ গ্রহন করতে এসেছেন। স্থানীয় প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-সহ সবার সহযোগিতায় এবারের উৎসব সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে প্রতি বছর আমরা উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করে থাকি। তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এই উৎসব উপলক্ষে পুলিশ, নৌবাহিনী-সহ সাদা পোষাকে বাহিনীর সদস্যরা তাদের নিরাপত্তা দিয়েছে। তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা বলেন, এই রাস, মেলা ও উৎসবের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। এটা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয় এটা পর্যটন উন্নয়নের জন্যও শুভ সন্ধ্যাকে সমৃদ্ধ করেছে।