স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : শীতকাল মানেই মা-দাদীদের হাতের ছোয়ায় বাহারী রকমের নকশায় আঁকা সুস্বাদু সব পিঠার আয়োজন। চুলার পাশে বসে ধোঁয়া ওঠা গরম ভাপা, চিতই, পাটি শাপটা আর পাকান পিঠার ঘ্রাণ। মজাদার সে সব খাবার গুলো আধুনিকতার ছোয়ায় হারিয়ে গেলেও পিঠা উৎসবে তা ফিরে এসেছে।
‘আসেন একসাথে শীতের পিঠা খাই’ এই স্লোগান নিয়ে আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) গোপালগঞ্জ মুকসুদপুর উপজেলার কমলাপুর আব্দুল খালেক একাডেমি প্রাঙ্গনে দুই দিনব্যাপী নবান্ন ছোয়া পিঠা উৎসবের আয়োজন করে জাগ্রত যুব সমাজ সংগঠন।
উপজেলার কমলাপুর আব্দুল খালেক একাডেমি প্রাঙ্গনে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ পিঠা উৎসবে ২০টি স্টলে গ্রাম বাংলার নানা ধরনের পিঠাসহ লক্ষ্য করা যায় প্রায় ৭০ প্রকারের পিঠার সমাবেশ। এদের ভিতর উল্লেখযোগ্য চিতই, ভাপা, পুলি,তক্তি, নকশি পিঠা, ডিমের পুডিং,পাটি সাপটা, ঝাল চন্দ্রকোনা, চন্দনকুলি, দুধ খেঁজুর, নারকেলের চিড়া, রসপান, হৃদয়হরন, গোকুল পিঠাসহ হরেক রকমের রসালো পিঠা। বেচা বিক্রির চেয়ে আনন্দ ভাগাভাগি যেন ঠাই পেয়েছে সকলের মধ্যে।
গ্রামীণ এ উৎসবে আগত পিঠা প্রেমিদের ছিলো উপচেপড়া ভিড়। ছোট বড় প্রায় সব বয়সী মানুষের উপস্থিতি মেলাকে জমিয়ে তোলে। বাহারী সব সাজে বন্ধু মহল পিঠা ঘরের নিয়ে এসেছে, দেশীয় মান ও স্বাদের সব পিঠা। সাশ্রয়ী মূল্যে পিঠা পাওয়া যাচ্ছে।
দাদা নাতী পিঠা ঘরে নুশরাত জাহান ঐশী বলেন, এ পিঠা উৎসবে পাকান চিতই, নারিকেল নাড়ু, ভাপাসহ হরেক রকমের পিঠা নিয়ে এসেছি। দাদির হাতের ছোয়ার পিঠা যে একবার খাবে তার স্বাদ কখনো ভূলতে পারবে না। #