• ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“ঘাসফুল বিদ্যালয় এবং ঘাসফুলের গল্প। “

report71
প্রকাশিত নভেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৫:২২ পূর্বাহ্ণ
“ঘাসফুল বিদ্যালয় এবং ঘাসফুলের গল্প। “

আমি একটি ফুলের গল্প বলবো, যে ফুল অবহেলিত বঞ্চিত অনাবৃত কিন্তু শুভ্র,পবিত্র যে পদাঘাতে পিষ্ট  হয়ে যায় দুমড়ে যায় কিন্তু ভেঙে পড়ে না। বারবার মাথা ঝাঁকিয়ে ঝাঁকড়া চুলের বাহার উঁচিয়ে ধরে। যার ধমনীতে উচ্চ আকাঙ্ক্ষার রক্ত প্রবাহিত হয়। হৃদয় স্পন্দনের কপাটিকার সহপাঠে বাড়ি দিয়ে বারবার স্মরণ করিয়ে দেয় তোমাকে ঘুরে দাঁড়াতেই হবে।

তুমি চির সবুজের মাঝে তাকিয়ে দেখো তোমার শুভ্রতা কিছু মানুষকে মুগ্ধ করছে যারা তোমার শুভ্রতাকে আলিঙ্গন করে পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত। তোমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। তুমি অবহেলা এবং বঞ্চনার শিকার তুমি ঘাসফুল। তোমাদের নিয়ে গড়ে উঠেছে ঘাসফুল বিদ্যালয়।

যেখানে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে সুবিধা বঞ্চিত শিশু- কিশোরদের মাঝে সুশিক্ষা এবং আধুনিক শিক্ষার আলো ছড়ানো হচ্ছে।  অসম্ভব সুন্দর  মনের মানুষের উদ্যোগে শের ই বাংলা হলের ডাইনিং রুম থেকে পদ-যাত্রা শুরু করে ঘাসফুল বিদ্যালয়। পটুয়াখালী ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদ-দেশ পড়ন্ত বিকালে চলে পাঠদান কর্মসূচি । সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। যেখানে ৩০ জনের ও অধিক শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে পাঁচ দিন পড়ানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাদেরকে পড়াশোনার পাশাপাশি মানুষের মত মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখায়।

স্বপ্ন দেখায় উচ্চ শিক্ষার, কৌশল শেখায় কিভাবে স্বপ্নকে ছোঁয়া যায়, কিভাবে সফলতা স্বাদ আচ্ছাদন করতে হয়।

এমননি একজন ঘাসফুল ‘সায়েদা বেগম’ ঘাসফুল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। মাধ্যমিকের গণ্ডি  পেরিয়ে পা রাখল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস কে আপন করে নিল। 

সায়েদা, তোমার জন্য শুভকামনা রইল। তোমার প্রতিটি স্বপ্ন পূরণ হোক। তুমি সমাজের একটি উদাহরণ হয়ে উঠবে।