সোহাগ হাওলাদার,বরগুনাঃ
বরগুনার তালতলী উপজেলার পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের বড়পাড়া গ্রামে ছগির হাওলাদার (৩৮) নামে এক যুবককে গুলিকরার সময় বিদেশি পিস্তলসহ একই গ্রামের জাকির (৪৫) নামে এক যুবককে আটক করে এলাকাবাসী।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বড়পাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান হাওলাদারের ছেলে কবীর হাওলাদারের সাথে বাগবিতণ্ডা হয় একই গ্রামের ময়জুদ্দিনের ছেলে মাদক কারবারী জাকিরের (৪৫)। কবীর বাড়িতে গিয়ে ভাই ছগির হাওলাদারের কাছে বললে ছগির ভাই কবীরকে নিয়ে জাকিরের উদ্দেশ্যে বড়পাড়া বাজারে আসে। এসময় ওদের দুভাইকে দেখতে পেয়ে সন্ত্রাসী জাকির পিস্তল উচিয়ে ফাকাগুলি করতে করতে মাদক কারবারী জাকিরও বড়পাড়া বাজারে আসে। ছগির ও কবীরকে উদ্দেশ্য করে জাকিরের ছোড়া একটি গুলি ছগির হাওলাদারের পায়ে লাগে। তখন পায়ে গুলিবিদ্ধ ছগির জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জাকিরকে জাপটে ধরে। দুজনের ধস্তাধস্তির সময় সন্ত্রাসী জাকিরে ভাই আলআমিন চায়নিজ কুড়াল দিয়ে ছগিরকে উদ্দেশ্য করে কোপ দিলে ছগির সরে যায়। ছগির সরে যাওয়ায় কোপটি গিয়ে লাগে পিস্তলধারী জাকিরের নাকে। এতে সন্ত্রাসী জাকিরও আহত হয়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে এলাকাবাসী জাকিরকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখেন। পরে তালতলী থানা-পুলিশকে খবর দেন।
গুলিতে আহত ছগিরে ভাই কবীর বলেন, এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ জাকির গং মাদকের কারবার চালিয়ে যাচ্ছিলো। এতে কবীর ও তার ভাই ছগির বাধা দিলে মাদক কারবারীরা তাদের উপর ক্ষুব্ধ 7 হয়। আজ সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। কবীর আরো জানান, জাকির একা আসেনি। তার সাথে দুজন সহযোগীও এসেছিল। তাদের হাতেও পিস্তল ছিলো। জাকির ধরা পড়ায় তারা পালিয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো: ফরিদুল ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের বড়পাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। আটক জাকিরের কাছে একটি বিদেশি পিস্তল ও ৭ রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। আহত দুজনকে চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানোর চেষ্ট চলছে।