• ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীতে দুই ব্যাক্তিকে অপহরণ করে ২০ লক্ষ টাকা দাবি, গ্রেফতার ২

report71
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১০, ২০২৪, ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ণ

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা পটুয়াখালী, প্রতিনিধি
পটুয়াখালীতে মাছ ব্যবসায়ী ও সার্ভেয়ারকে অপহরণ করে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকাল তিনটায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার জাহিদ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পটুয়াখালী পৌর শহরের বড় চৌরাস্তা এলাকার বাসিন্দা আবদুর রাজ্জাকের ছেলে মাহামুদুল হাসান (২৭) এবং টাউন জৈনকাঠী এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে মোঃ আলী আজিম (৩০)। গ্রেফতারের সময় অপহরনের কাজে ব্যাবহৃত ২ টি মোটরসাইকেল ও একটি অটোরিক্সা জব্দ করা হয়। পুলিশ সুপার বলেন, রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে পটুয়াখালী জজ কোর্ট এলাকার একটা হোটেলের সামনে থেকে মাছ ব্যবসায়ী মোঃ আমিরুল ইসলাম (৪৩) ও স্থানীয় সার্ভেয়ার মোঃ কুদ্দুস ঢালীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করা হয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রাত সাড়ে ৯ টার দিকে শহরের বিসিক শিল্প নগরী এলাকা থেকে আসামীদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় অপহৃতদের উদ্ধার এবং অপহরণের কাজে ব্যাবহৃত মালামাল জব্দ করে ডিবি পুলিশ। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণপূর্বক মুক্তিপন দাবি এবং মুক্তিপন না দিলে খুন করার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেন আসামিরা। 
এ ঘটনায় ভিক্টিমের আত্মীয় কাজী মোঃ সুমন বাদি হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় মামলা করেছেন। আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। 

এ ঘটনার সাথে আরো যারা জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশ সুপার। 

মাছ ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম বলেন, আমার বাড়ি কলাপাড়া উপজেলায়। পায়রা বন্দরে আমার জমি অধিগ্রহণ করেছে। এতে ডিসি অফিসের এলএ শাখা থেকে জমির ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১২ লক্ষ টাকা দেয়ার কথা। রবিবার স্থানীয় এক সার্ভেয়ারকে নিয়ে ওই টাকা  উত্তলন করতে আসছি। শুনানি জটিলতার কারণে ওই টাকা উত্তলন করা সম্ভব হয়নি।

‘পরে বিকাল আড়াইটার দিকে খাবার খাওয়ার জন্য হোটেল সামনে গেলে তিনটি মোটরসাইকেল এবং একটা অটো আমাদের ঘিরে ফেলে। পরে ৭/৮ জন লোক আমাদের দুইজনকে অটোতে উঠিয়ে মুখ বেধে একটা পরিত্যক্ত ব্রিকফিল্ডের মধ্যে নিয়ে। পরে আমার পরিবারের কাছে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। বিষয়টি পুলিশের কাছে জানালে আমাদেরকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আমার মামা কাজী মোঃ সুমন বাদি হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি মামলা করেছেন।’