স্টাফ রিপোর্টার
হাড় কাঁপানো শীতে বরিশালসহ সারা দেশে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শুক্রবার ( ৩ জানুয়ারি) সর্বোনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলিসিয়াস যা এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। বরিশালে গত ২ দিন ধরে সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে বৃহত্তর দিনাজপুরের পঞ্চগড় জেলার তেুঁলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলিসিয়াস। এছাড়াও ঠাকুরগাঁয়ে ৯ ডিগ্রি, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৯ দশমিক ৪ডিগ্রি, রংপুরে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি, নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১০ ডিগ্রি, নীলফামারীর ডিমলায় ১১ ডিগ্রি, লালমনিরহাটে ১০ ডিগ্রি ও গাইবান্ধায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত উত্তরের জেলাগুলোতে জেঁকে বসা শীতে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা নিন্ম আয়ের দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের। শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন,হতদরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ।
শীতের তীব্রতার সাথে বেড়েছে হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশা। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জন-জীবন। বিশেষ করে হতদরিদ্র-ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ তীব্র শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে। শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন তারা। কেউ কেউ খড়কুটো জ্বালিতে শীত নিবারণের ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলায় চলতি মৌসুমে ৫৮ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আরও কিছু শীতবস্ত্র চেয়ে মন্ত্রণালয়ে জরুরি বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু শীতার্ত মানুষের অভিযোগ তারা পায়নি কোন শীতবস্ত্র। তারা গরম কাপড়ের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে ঘন কুয়াশা। আর একারণে রেল লাইনে ট্রেন ও সড়কে যানবাহন দূর্ঘটনা এড়াতে দিনের বেলাতেই হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। এর পরও বাড়ছে সড়ক দূর্ঘটনায় হতাহতদের ঘটনা। সূর্যের মুল দেখা ঠিকমতো দেখা যাচ্ছেনা চারদিন ধরে। সূর্য উঠলেও লুকোচুরি খেলছে।।
এদিকে দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানিয়েছেন, দুই-তিন দিন তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। তবে এর পর আরও কমবে তাপমাত্রা। ৩-৪ দিন পর অর্থাৎ এ মাসের ৬ অথবা ৭ তারিখে দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলেএকটি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশংকায় করেছেন।
বিরল উপজেলার পলাশবাড়ী এলাকা থেকে কাজের সন্ধানে আসা মনসুর আলীও জানালেন, কাজ না থাকায় খুবই সমস্যায় পড়ছেন। বাড়িও ফিরতে পারছেন না। বাড়ি গেলে কিছু বাজার করে তো নিতে হবে। কিন্তু টাকা তো নেই।
দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ৩-৪ দিন পর আরও তাপমাত্রা কমে যাবে। বাড়বে শীতের তীব্রতা। বয়ে যাবে একটি শৈত্য প্রবাহ।