খালিদ হাসান, বাগেরহাট প্রতিনিধি:
হঠাৎ করে যেন শীত জেঁকে বসে বাগেরহাট’সহ আশপাশের জেলাগুলোতে। এবং শীতের প্রকোপ বেড়েছে, তারমধ্যে বইছে বাতাসও। তাই প্রচন্ড শীতে এখানকার জনজীবনে জুবুথুবু অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
গত দুই তিনদিন ধরে শীতের প্রকোপ আগের তুলনায় বেড়েছে। এতে শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন বস্তিতে বসবাসকারী নিতান্ত দরিদ্র শ্রেণী মানুষেরা। শীতে গরম কাপড় কেনার সামর্থ্য না থাকলেও তারা চেয়ে থাকেন ত্রাণের (কম্বল সহায়তা) দিকে। অথচ এখনও পর্যন্ত তারা সবাই পাননি স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন কম্বল সহায়তাও। তা নিয়ে ক্ষুদ্ধ এসব শীতার্ত মানুষেরা।
তবে দেখা গেছে কিছু ব্যক্তিগত ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে স্বল্প পরিসরে কম্বল বিতরণ করতে। আজ সকালে ফকিরহাটে অধ্যক্ষ ইউনুস আলী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ফকিরহাট কারামতিয়া হেফজ মাদ্রাসার ছাত্রদের মাঝে কম্বল বিতরণের দৃশ্য দেখে গেছে।
শুক্রবার (০৩ জানুয়ারি) সকালে সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, ফকিরহাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা’সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজনে আগুন জ্বালীয়ে শীত নিবারণ করার চেষ্টা করছেন।
ফকিরহাট উপজেলা সদরের বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাওয়ার সময় কথা হয় এক চা দোকানীর সঙ্গে তিনি বলেন, গত দুই তিনদিন ধরে শীতের প্রকোপ আগের তুলনায় বেড়েছে। এই কন-কনে শীত ও হিমেল হাওয়ায় কারণে আমারা আমাদের চায়ের দোকান খুলতে পারছি না, এবং আগের তুলনায় বেচা কেনাও কম হচ্ছে। আর এই কন কনে শীতে জবুথবু খাচ্ছে সাধারণ মানুষ আর ঘর থেকে বের হওয়াই দায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্র মতে জানা যায়, এমন কুয়াশা আরও দু-তিন দিন থাকবে। এই সময়ে ঠান্ডা এখনকার মতোই থাকবে। এরপর কুয়াশা কেটে গেলে রাতের তাপমাত্রা ক্রমেই কমে শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে। জানুয়ারির ৬ থেকে ৭ তারিখের পর রাতের তাপমাত্রা কমে ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে আসতে পারে। আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে একটি থেকে তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি এবং একটি থেকে দুটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।