• ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধুমপানে আসক্ত স্বামী, ফেরানোর ব্যর্থতায় স্ত্রীর আত্মহত্যা

report71
প্রকাশিত জানুয়ারি ৬, ২০২৫, ০৮:১১ পূর্বাহ্ণ
ধুমপানে আসক্ত স্বামী, ফেরানোর ব্যর্থতায় স্ত্রীর আত্মহত্যা

 

সোহাগ হাওলাদার,বরগুনঃ
স্বামীর ধুমপান ফেরানোয় ব্যর্থ হয়ে বিয়ের ৬ মাসের মাথায় আত্মহত্যা করার অভিযোগ উঠেছে ফারিয়া (১৭) নামে এক গৃহবধূর। নিহত ওই গৃহবধূ ময়মনসিংহের গগদা নামক এলাকার বাসিন্দা হারেছ মিয়ার মেয়ে।

ঘটনার একদিন পর সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালের দিকে নিহতের বাবা হারেছ মিয়া একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে রবিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধা ৭ টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার আমতলী নিমতলী নামক এলকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরগুনা সদর উপজেলার আমতলী নামক এলাকার বাসিন্দা আব্বাস বিশ্বাসের ছেলে সালমান এবং ফারিয়া একসঙ্গে ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠায় গত ৬ মাস পূর্বে তারা বিয়ে করেন।  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে ফারিয়া স্বামীর সঙ্গে বরগুনায় তার শ্বশুর বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। তবে সালমান সিগারেটে আসক্ত থাকায় ফারিয়া প্রায় সময়ই তাকে সিগারেট খেতে নিষেধ করত। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে মনমালিন্যের জেরে ঘরে থাকা কীটনাশক ট্যাবলেট খায় ফারিয়া। পরে পরিবারের সদস্যরা ফারিয়াকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

এবিষয়ে নিহত ফারিয়ার শ্বাশুড়ি খালেদা বলেন, আমার ছেলের স্ত্রী ফারিয়া প্রায় সময়ই ছেলেকে সিগারেট খেতে নিষেধ করত। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনমালিন্যও হত। তবে আমার ছেলে কখনও তাকে মারধর করেনি। সিগারেট খাওয়া বন্ধ না করায় মাঝে মধ্যে রাগ করে ফারিয়া মরিচ চিবিয়ে খেত। আজ সিগারেটের প্যাকেট লুকিয়ে রাখায় ছেলের সঙ্গে মনমালিন্য হলে ঘরে থাকা তরমুজ ক্ষেতে দেয়ার কীটনাশক খায় ফারিয়া। পরে আমরা তাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

 

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোঃ হারেছ মিয়া (৬ জানুয়ারি) সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।