স্টাফ রিপোর্টার ॥ কলাপাড়া ১৩শ ২০ মেঘা ওয়াট তাপ বিদুৎ কেন্দ্র। সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকান্ড আর নিরবিচ্ছিন্ন বিদুৎ উৎপাদনে বদলে গিয়েছে এই সাগরপড়ের জনপদ। আর এই প্রকল্প দ্বার করতে বিদেশিদেরকে উন্নয়ন কর্মকান্ডে সরাসরি সহযোগীতা করতেন বরিশাল, পটুয়াখালী ও কলাপাড়ার বেশ কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে মিফতা ট্রেডার্স ২০২০ সাল থেকে কালাপাড়ার ধানখালী তাপ বিদুৎ কেন্দ্রে বিভিন্ন সময়ে টি.ই.পি.সি সাথে কাজ করে জেটি থেকে পণ্য খালাশের চুক্তি সম্পন্ন্য করে। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিল পরিষোধ করলেও বাকি ৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা না দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পায়তারা করে টি.ই.পিসি চায়না কর্মকর্তারা। এক পর্যায়ে তাদের ব্যবহৃত মালামাল জাহাজে ভরে চিনে রওয়ানা দেয়ার প্রস্তুতি নেয়। খবর পেয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মিফতা ট্রেডার্স এর লোকজন চিনাদের মালামাল সহ জাহাজ আটকিয়ে প্রশাসন খবর দিয়ে মামলা দায়ের করেন। এরআগে এ ঘটনায় আরএনপিএল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারজন চীনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বরিশালের রূপাতলীর মিফতা ট্রেডার্সের ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম রাহাত। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, অভিযুক্তরা সাইফুল ইসলামের প্রতিষ্ঠানের কাছে জেটি আনলোড ও পরিবহন খাতে ৩ কোটি ৩৯ লাখ ২২ হাজার ৩২৮ টাকা বকেয়া রেখেছেন এবং দীর্ঘদিন ধরে পরিশোধে গড়িমসি করছেন। মামলায় অভিযুক্ত চীনা কর্মকর্তারা হলেন প্রজেক্টের জেনারেল ম্যানেজার ইয়ং লিং, প্রজেক্ট ম্যানেজার লিফুডং, এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার হুতাও এবং নির্বাহী পরিচালক সানরুই। অভিযোগ অনুযায়ী, তিয়ানজিং ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কোম্পানি নির্মাণাধীন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের আন্তর্জাতিক লজিস্টিক প্রতিষ্ঠান সিএমইসি-এর কমট্রান্স প্রজেক্ট লজিস্টিক কোম্পানি লিমিটেড এবং সহযোগী ওসান ট্রাক লজিস্টিক (বিডি) লিমিটেডের সঙ্গে ২০২১ সালের ১০ জুন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সাইফুল ইসলাম জানান, চুক্তি অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করার পরও অভিযুক্তরা টাকা পরিশোধে নানা অজুহাত দেখিয়ে সময়ক্ষেপণ করছেন। এমনকি কোম্পানি তাদের কর্মকাণ্ড গুটিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। নিরুপায় হয়ে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। মামলার প্রেক্ষিতে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থানার ওসিকে বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। মিফতা ট্রের্ডাস-প্রপ্রাইটর মোঃ শাহিন মৃর্ধা বলেন, উন্নয়ন করতে গিয়ে দোবাসি এবং চায়নাদের প্রতারনার শ্বিকার এই ঠিকাদার। উভয় পক্ষের শুনানি শুনেই ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম।