• ২৫শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে পাল্টা-পাল্টি শোডাউন, এলাকায় উত্তেজনা

report71
প্রকাশিত জানুয়ারি ১১, ২০২৫, ১২:৫০ অপরাহ্ণ
উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে পাল্টা-পাল্টি শোডাউন, এলাকায় উত্তেজনা

 

স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর বিএনপির দুই ত্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে উপজেলা জুড়ে থমথমে অবস্থান বিরাজ করছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হলেও এখন পযর্ন্ত মামলা হয়নি।

এদিকে, কয়েকটি গণমাধ্যমে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ শিরোনামে সংবাদ প্রচার করায় উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী।

গতকাল শুক্রবার রাতে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে আধিপত্য বিস্তার ও ক্যালেন্ডার বিতরণকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম ও নির্বাহী কমিটির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়।

এ ঘটনা জের ধরে আজ শনিবার (১১ জানুয়ারী) সকালেও কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিমের সমর্থক উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক স্বপন মোল্যার নেতৃত্বে ও নির্বাহী কমিটির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহর সমর্থক সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি খিপু মিয়ার নেতৃত্বে এলাকায় শোডাউন করায় থমথমে অবস্থান বিরাজ করছে। সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিমের সমর্থকরা সোনালী ব্যাংক মোড়ে এবং সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহর সমর্থকরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটে অবস্থান করছে।

এদিকে, কয়েকটি গণমাধ্যমে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ শিরোনামে সংবাদ প্রচার করায় উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হায়দার হোসেন তার ফেসবুকে লিখেন, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে আধিপত্য বিস্তার ও পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম গ্রুপ ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ-এর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, হামলা, ভাংচুর, লুটপাটের সংবাদ ক‌তিপয় গণমাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও বিএন‌পি সংঘর্ষ বলে প্রচারিত হয়েছে। যা আমাদের নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে।

তিনি আরো লেখেন, মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপ‌তি রবিউল আলম শিকদার তার ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে বলেছেন “মুকসুদপুরের বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষকে আওয়ামী লীগ-বিএনপি’র সংঘর্ষ বলে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমরা দায়িত্বশীল গণমাধ্যমকে বিনীতভাবে জানাতে চাই, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আপাতত রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নেই। মুকসুদপুরে এমন ঘটনা ঘটার বিগত দিনে কোন ইতিহাস নেই। আমরা শান্তিপুর্ণ সহবস্থানে রাজনীতি করেছি। গত ২১ বছরে আমাদের পক্ষ থেকে একটিও রাজনৈ‌তিক মামলা হয়নি। এমতস্থায় প্রিয় সাংবা‌দিক ভাইদের সঠিক সংবাদ প্রকাশের আহবান জানাই। মুকসুদপুর আওয়ামী লীগকে জড়িয়ে প্রকা‌শিত সংবাদের প্রতিবাদপত্র ও প্রকাশের অনুরোধ রইল।

এব্যাপারে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, যারা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৬ বছরে বিএনপির কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ছিলো না তারা এখন এলাকায় বিএনপি করতে চায়। এমনকি তারা আওয়ামী দোসরদের বিএনপি রাজনীতিতে সক্রিয় করতে চাচ্ছে। তাদের দলে কোন অবস্থান নেই জেনেই এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপিতে কোন গ্রুপ নেই।

কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ বলেছেন, গতকাল রাতে আমার ক্যালেন্ডার বিতরন করার সময় আমার কর্মিদের উপর কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিমের লোকজন হামলা চালিয়ে মারধর করে। পরে পুলিশের উপস্থিতে হাম্ চালানো হয়। এসময় দোকানপাট ভাংচুর করে। সেলিমুজ্জামান সেলিম আওয়ামী পরিবারের সদস্য। তিনি উল্টো আওয়ামী লীগ কর্মীদের দলে সক্রিয় করতে চাচ্ছে। এছাড়া সেলিমুজ্জামান সেলিম দিদার হত্যা মামলা ও সেনাবাহিনীর উপর হামলা এই দুটি মামলায় আসামী দিয়ে চাঁদাবাজী করছে। আমার বিরুদ্ধে এলাকায় চাঁদাবাজীর কোন অভিযোগ নেই।

মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোস্তফা কামাল জানান, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এখন পযর্ন্ত কোন পক্ষই থানায় মামলা দায়ের করেনি। #