খুলনা জেলার পাইকগাছা কৃষি কলেজকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ আয়োজিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। আজ (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিমের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল সরেজমিনে কলেজটি পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী নির্মাণকাজের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। উপাচার্য একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন, হোস্টেল, এবং কোয়ার্টার ঘুরে দেখে গুণগত মান বজায় রেখে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন।
উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, “পাইকগাছা কৃষি কলেজকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ইনস্টিটিউশনে রূপান্তর করা হবে। এখানে এগ্রিকালচারাল, ভেটেরিনারি, এনিমেল সায়েন্স এবং ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট্রি বিষয়ে একাডেমিক ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এটি সামুদ্রিক উপকূলে মৎস্যচাষসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা কার্যক্রমের জন্য ফিল্ড ল্যাবরেটরি হিসেবেও ব্যবহৃত হবে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশে প্রতি বছর ১৫ হাজার শিক্ষার্থী কৃষি ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন। তাদের জন্য বিএসসি কোর্স এবং বিভিন্ন সার্টিফিকেট কোর্স চালুর মাধ্যমে কলেজটিকে বহুমুখী শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। নির্ধারিত সময়ে নির্মাণকাজ শেষ হলে আগামী জুলাই মাস থেকেই এর কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।”
পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানরা এবং প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা।
স্থানীয় জনগণ উপাচার্যের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং এটি ছাত্ররাজনীতিমুক্ত রাখার অঙ্গীকার করেন। তারা কলেজটির শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, শিববাটী ব্রিজ ও আলমতলার মধ্যবর্তী ২৫ একর জমির ওপর নির্মিত হচ্ছে পাইকগাছা কৃষি কলেজ। প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে ৭৭% সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে এটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি পায়।
পাইকগাছা কৃষি কলেজকে একটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা, যা দেশের কৃষি শিক্ষায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।