সোহাগ হাওলাদার,বরগুনাঃ
এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উপলক্ষ্যে বরগুনায় গ্রামীণ পিঠা, দেশীয় খেলাধুলা নিয়ে তারুণ্যের মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়েল আয়োজনে জেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে বরগুনার ডি. কে. পি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় দিনব্যাপী এ পিঠা মেলা ও দেশীয় খেলাধুলার উদ্বোধন করেন বরগুনা জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শফিউল আলম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামীম মিঞা। জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ রেজাউল কবির বাবলু হাওলাদার সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বাঙালির চিরচেনা ঐতিহ্য ধরে রাখতে আয়োজন করা হয়েছে দিনব্যাপী পিঠা পুলি ও দেশীয় খেলাধুলা। এ উৎসব উপভোগ করতে মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় জমান শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
মেলায় স্থান পেয়েছে জিরা পিঠা, ভাপা, নকশি, চিতই, পাঠিসাপটা, জামাই বরণ পিঠা, ডাল ও তালের পিঠাসহ অর্ধশতাধিক মুখরোচক পিঠা।
এছাড়াও দেশীয় খেলাধুলার মধ্যে ছিলো হাডুডু খেলা, বউচি খেলা, গোস্ত চুরি খেলাসহ ঐতিহ্য বাংলার কয়েক রকমের খেলাধুলাসহ লোকনৃত্য।
আর এসব গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা ও বিভিন্ন পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছে বরগুনার ডি. কে. পি. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এ মেলায় নতুন প্রজন্মের সঙ্গে পিঠা ও দেশীয় খেলাধুলার পরিচয় করিয়ে দিতে এমন আয়োজন বলে জানান আয়োজকরা। পাশাপাশি তারুণ্যের যে উৎসব সেই উৎসব যেন সারাবছর জুড়ে থাকে সেটাই প্রত্যাশা করেন
তারা।
ডি. কে. পি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. খালেদা আ ক তারা বলেন, তারুণ্যর মেলায় দেশীয় খেলাধুলার পাশাপাশি, মেলায় স্থান পেয়েছে জিরা পিঠা, ভাপা, নকশি, চিতই, পাঠিসাপটা, জামাই বরণ পিঠা, ডাল ও তালের পিঠাসহ অর্থশতাধিক পিঠার সমারাহ।
উৎসবে ভিড় জমান প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ, অভিভাবকরাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। অনেকেই মেতেছিল উৎসবে। কেউ কিনছেন, কেউ খাচ্ছেন। আবার কেউবা নিয়ে যাচ্ছেন। পিঠা পুলির এ আয়োজনটি তরুণ প্রজন্মকে আকর্ষণ করে। পাশপাশি বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করে স্টলে বিক্রি করার মাঝেই আনন্দ তাদের। এতে তরুণরা বিভিন্ন পিঠার সাথে পরিচয় হতে পেরে খুশি তারা।
এসময় বক্তব্যে জেলা প্রশাসক
মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন। গ্রামীণ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ প্রতি বছরই প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখা হবে। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন
দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ দেন।