খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম জলবায়ু সংকট মোকাবিলা ও উপকূলীয় সুরক্ষায় যুবদের নেতৃত্বে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত খুলনা জলবায়ু যুব ফোরামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহবান জানান। এ সময় তিনি বলেন, “আমাদের গ্রহের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে আজকের পদক্ষেপের ওপর। যুব সমাজকে জলবায়ু আন্দোলনের নেতৃত্বে আনা শুধুমাত্র তাদের সম্ভাবনার বিনিয়োগ নয়, বরং এটি আমাদের টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য। বিশ্ব জলবায়ু আলোচনায় বাংলাদেশের কণ্ঠ শক্তি, সহনশীলতা এবং উদ্ভাবনী শক্তির প্রতিফলন ঘটাতে হবে।”
নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (ন্যাকম) এবং ইয়ুথনেট গ্লোবালের যৌথ আয়োজনে এই ফোরাম আয়োজনে সহায়তা করে ক্লাইমেট অ্যাম্বিশন সাপোর্ট অ্যালায়েন্স (কাসা) এবং যুক্তরাজ্য সরকার।
অনুষ্ঠানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ সাইন্স স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. গোলাম হোসেন, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মো. মুজিবর রহমান এবং
ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন।এবং আরো উপস্থিত ছিলেন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক প্রসূন কুমার ঘোষ, সহকারি অধ্যাপক সাধন চন্দ্র স্বর্নকার,সহকারী অধ্যাপক সাদিয়া ইসলাম মৌ।
সভার সভাপতিত্ব করেন-
ন্যাকমের নির্বাহী পরিচালক ড. এস.এম. মঞ্জুরুল হান্নান খান।
ইয়ুথনেট গ্লোবালের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি যুব নেতৃত্বে সুন্দরবন রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনে বাস্তুচ্যুত মানুষদের সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আন্তর্জাতিক জলবায়ু আলোচনায় যুব সমাজের সক্রিয় ভূমিকার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন তিনি।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন কপ২৯-এর মূল বিষয়গুলো যেমন ক্ষয় ক্ষতি তহবিল, অভিযোজন অর্থায়ন এবং ন্যায়সঙ্গত রূপান্তর নিয়ে আলোচনা করেন। তারা ব্রাজিলের বেলেম শহরে অনুষ্ঠিতব্য কপ৩০-এর জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি জোরদার করার লক্ষ্যে বেশ কিছু সুপারিশ প্রদান করেন, যার মধ্যে সুন্দরবন রক্ষা ও জলবায়ু অভিবাসন মোকাবিলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
সুন্দরবনের সংকট ও জলবায়ু অভিবাসন নিয়ে উদ্বেগ আলোচনায় বক্তারা সুন্দরবনের অবক্ষয়, লবণাক্ততার বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা উল্লেখ করেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে সুন্দরবন বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক প্রাচীর হিসেবে কাজ করে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া হাজারো মানুষের দুর্দশার বিষয়টি তুলে ধরেন জলবায়ু কর্মী শাহিন আলম(ইয়ুথনেট গ্লোবাল)
ইয়ুথনেট খুলনা-র ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটর ও এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী
মো: হাবিবুল্লাহ মুগ্ধ, নন্দিনি মন্ডল এবং সামিরা মোস্তফা।