• ১৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ববির ছাত্রলীগ কর্মীকে দরজা ভেঙে ছাড়িয়ে নিয়ে বিজয় মিছিল

report71
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৫, ২০২৫, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ণ
ববির ছাত্রলীগ কর্মীকে দরজা ভেঙে ছাড়িয়ে নিয়ে বিজয় মিছিল

ওয়াহিদ-উন-নবী, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক কর্মীকে আটক করার পর দরজা ভেঙে তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ওই ছাত্রলীগ কর্মী বিগত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ছিলেন।

জানা গেছে, শাহরিয়ার সান নামের ওই ছাত্রলীগ কর্মী আইন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করেন। পরে তাকে মারধরের পর নিরাপত্তা কক্ষে দেড় ঘণ্টা আটকে রাখা হয়।

শিক্ষার্থীদের বক্তব্য
রসায়ন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব আহমেদ বলেন, “গত জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় শাহরিয়ার সান সরাসরি জড়িত ছিল। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে পুলিশে সোপর্দ করার জন্য আটকে রেখেছিল। কিন্তু তার সহপাঠীরা দরজা ভেঙে তাকে ছাড়িয়ে নেয়, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স থাকবে। ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কোনো স্থান নেই।”

ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল কর্মী মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, “সাধারণ শিক্ষার্থীরা শাহরিয়ারকে আটক করার পর ছাত্রলীগ কর্মীরা নিরাপত্তা কক্ষের তালা ভেঙে তাকে মুক্ত করে। আটককৃত এই ছাত্রলীগ কর্মী অতীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল।”

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আশিক আহমেদ বলেন, “জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় শাহরিয়ার সরাসরি জড়িত ছিল। তবে কে বা কারা তাকে ছাড়িয়েছে, তা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বের করা প্রয়োজন। আমরা চাই, ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বক্তব্য
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ টি এম রফিকুল ইসলাম বলেন, “দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবিতে উত্তাল ক্যাম্পাস
সাধারণ শিক্ষার্থীরা শাহরিয়ারসহ ছাত্র আন্দোলনে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন। তারা মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখতে দুষ্কৃতকারীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া জরুরি।

ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।