• ২৩শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কড়াপুর চেয়ারম্যান বাড়ি জামে মসজিদ ও মাদ্রাসার উদ্যোগে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫, ০২:৪০ পূর্বাহ্ণ
কড়াপুর  চেয়ারম্যান বাড়ি জামে মসজিদ ও মাদ্রাসার উদ্যোগে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল

বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ বলেছেন, যেখান থেকে বাচ্চারা ইসলাম শিক্ষা গ্রহণ করে, কোরআন হাদিসের শিক্ষা পায় সেগুলো বন্ধ করার পরিবেশ বিগত সরকার তৈরি করেছিল। আবার নবী করীম (সা.) কে অবমাননা, কোরআন-হাদিসকে অবমাননা করার বিরুদ্ধে হেফাজত ইসলাম শাপলা চত্বরে সমাবেশ ডেকেছিল কিন্তু সেই সমাবেশে আলো বন্ধ করে ওলামা একরামকে হত্যা করেছিল। এছাড়া মসজিদের খুতবায় শেখ মুজিবুর রহমানের নাম বলতে এইভাবে খুতবা লিখতে দেওয়া হয়েছিল। আবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম-এ আওয়ামী লীগ করার সার্টিফিকেট নিয়ে খতিবের কাজ করতে হয়েছে। আমরা সেইরকম বাংলাদেশে আর ফিরে যেতে চাইনা।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে বরিশাল সদর উপজেলার রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাড়ি জামে মসজিদ ও মাদ্রাসার উদ্যোগে তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি আরও বলেন, আমাদের ভালোর দিকে যেতে হলে চুপ করে থাকলে হবে না। ধর্মীয় চিন্তা চেতনা নিয়ে সমাজের ও দেশের উন্নয়ন করতে পারে তাদের দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। ইসলাম বিরোধী ফ্যাসিবাদী শক্তির দোসর কোন স্বৈরশাসক আর যাতে বাংলাদেশে ক্ষমতার মসনদে আসতে না পারে সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ইসলাম বিরোধী অপশক্তি আর যাতে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় না আসতে পারে সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ বলেন, আমাদের দেশে ওয়াজ মাহফিল বা তাফসীর মাহফিল অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত হয়ে থাকে। যা ধর্মীয় রীতি মেনে এটা একটি সংস্কৃতির মতো, উৎসবের মতো পরিণত হয় । বাৎসরিক একটি মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কর্মে বিভিন্ন জায়গায় যারা থাকেন তারাও এলাকায় চলে আসেন। এটা অনেকটা ধর্মীয় আমেজে উৎসব পালন করার মতো। এই উৎসব গত কয়েকবছরে বিভিন্ন এলাকায় পালন করতে পারিনি। একটা ওয়াজ মাহফিলে হুজুরে কি বক্তব্য রাখবেন সেটিও তৎকালীন সরকারের স্থানীয় সন্ডা-পান্ডারা লিখে দিতেন। কোরআনের আলোকে দেয়া বক্তব্যের কোন অংশ যদি সরকারের বিরুদ্ধে যেত, তাহলে সেই বক্তব্য থামিয়ে সেখানেই হুজুরকে অপমান-অপদস্ত-বেইজ্জতি করা হতো। আলেম সমাজকে যারা বেইজ্জতি করেন তাদের তো আল্লাহ তাআলা সম্মান প্রদান করেন না। অতীত সেটা প্রমাণ করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইসলামি রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল, ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল। শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সকল মাদ্রাসা মসজিদে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এসে বাংলাদেশে ইসলামি রাজনীতি ও ধর্মীয় শিক্ষা পুনরায় চালু করেছিলেন। আর আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি চিকিৎসার জন্য দেশের বাহিরে রয়েছেন। তিনি এই দেশের গণতন্ত্র ও ইসলামের জন্য অনেক কিছু করেছেন, অনেক খেদমত করেছেন। তাদের জন্য দোয়া করবেন।

তিনি বলেন, আগামী দিনের ইসলামি রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন আমাদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার বিরুদ্ধে বিএনপির বিরুদ্ধে এখনও অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী একটি রাষ্ট্র আর এ দেশে আওয়ামী লীগের যে সকল চ্যালা চামুণ্ডা গুন্ডা-পান্ডা বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে আছেন তারা চেষ্টা করছেন বিএনপি এবং তারেক রহমান যেন ক্ষমতায় আসতে না পারেন।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) সেক্রেটারি ও রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে মাহফিলে ইসলামি চিন্তাবিদ শাইখুল আরব মুফতি আমিনুল ইসলাম আরেফী, বরিশাল নগরের স্টিমার ঘাট জামে মসজিদের খতিব আলহাজ মাওলানা শরফউদ্দিন বেগ, আলহাজ হাফেজ মাওলানা কামাল উদ্দিন মুঈনী, ক্বারী এনায়েত উল্লাহ সাইফী, মাওলানা আবদুল জলীলসহ অনেকে ওলামায়ে কেরাম বক্তব্য রাখেন।