• ১৫ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২রা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ


পহেলা বৈশাখ: অসাম্প্রদায়িক বাঙালির মহামিলনের মঞ্চ -বাহাউদ্দিন গোলাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত এপ্রিল ১২, ২০২৫, ১৫:৩৫ অপরাহ্ণ
পহেলা বৈশাখ: অসাম্প্রদায়িক বাঙালির মহামিলনের মঞ্চ  -বাহাউদ্দিন গোলাপ

নব সূর্য ওঠে এক নতুন সম্ভাবনার প্রতিশ্রুতি নিয়ে, আর সেই সূর্য জাগে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে একসাথে—প্রাণের উৎসবে, সংস্কৃতির উদযাপনে। পহেলা বৈশাখ কেবল ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টানোর দিন নয়; এ এক আত্মার আরাধনা, এক বর্ণিল মিলনমেলা, যেখানে জাত-ধর্ম-বর্ণের বিভাজন বিলীন হয়ে যায় অসাম্প্রদায়িক বাঙালিত্বের অনন্য মঞ্চে। এটি আমাদের শিকড়ের দিকে ফেরার আহ্বান, বাউল বাউলানির গান, আলপনার রেখায় আঁকা আমাদের ঐতিহ্য, আর হাজার বছরের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের দীপ্ত প্রতিফলন। শহর থেকে গ্রাম, পাহাড় থেকে উপকূল—সমগ্র বাংলায় এই দিনে জেগে ওঠে এক অপার আনন্দ ও মিলনের সুর, যা পুরো জাতিকে গেথে নেয় হৃদয়ের বন্ধনে।

🔴 প্রভাতী সূর্যের আলোয় নতুন স্বপ্ন

বৈশাখের প্রথম প্রহরে বাংলার আকাশে ঢাকের তালে তালে জেগে ওঠে নতুন সূর্য। রমনার বটমূলে ছায়ানটের কণ্ঠে “এসো হে বৈশাখ” ধ্বনির সাথে যেন মিশে যায় গ্রাম্য মেলার মুড়ি মোয়ার গন্ধ, আদিবাসীদের ঝুমুর নাচের তাল, আর শহুরে তরুণের রক কনসার্টের দুরন্ত শব্দ। পহেলা বৈশাখ কেবল একটি উৎসব নয়—এটি বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার জীবন্ত দলিল, যার রক্তে মিশে আছে ইতিহাস, রাজনীতি, সংস্কৃতি ও অর্থনীতির বহুস্তরীণ গাথা। ইউনেস্কো স্বীকৃত এই উৎসব আজ বিশ্বসাংস্কৃতিক মঞ্চে বাংলার পরিচয়কে উজ্জ্বল করেছে। কিন্তু কীভাবে একটি কৃষিভিত্তিক প্রথা রূপ নিল সার্বজনীন মহোৎসবে? কী তার গৌরবগাথা ও সমকালীন চ্যালেঞ্জ?

🔴 ইতিহাসের আয়নায় বাংলা নববর্ষ

বাংলা নববর্ষ কেবল একটি দিন নয়—একটি সভ্যতার স্পন্দন। হাজার বছরের শ্রীহট্ট থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত বিস্তৃত বাঙালির জীবনযাপনের মহাকাব্য। ১৫৮৪ সালে, মোগল সাম্রাজ্যের স্বর্ণযুগে, সম্রাট আকবরের সিংহাসনে বসার ২৯তম বছরে এই পঞ্জিকার জন্ম। তখন বাংলার মাঠে-ঘাটে ফসলের সোনালি জোয়ার উঠত, কিন্তু হিজরি চান্দ্র পঞ্জিকার অমিলে কৃষকেরা হারাচ্ছিল তাদের ফসলি সোনার হিসাব। আকবরের দূরদর্শী দরবারে জ্যোতির্বিদ ফাতেহউল্লাহ শিরাজি আর অর্থনীতির রূপকার রাজা টোডরমল মাথা ঘামালেন: কীভাবে সূর্য ও চাঁদের যুগলবন্দিতে তৈরি করা যায় এমন এক পঞ্জিকা, যা প্রকৃতির সঙ্গে তাল মেলাবে, কৃষকের ঘামে ভেজা ফসলের মৌসুমকে করের হিসাবের সঙ্গে জুড়ে দেবে? উত্তর এলো বাংলা সনের রূপে—একটি সৌর-চান্দ্র সমন্বিত ক্যালেন্ডার, যার শিকড় প্রোথিত হিন্দু শকাব্দ ও ইসলামি হিজরিতে, কিন্তু ফল্গুধারার মতো তা বয়ে গেল বাংলার মাটির গভীরে।

মোঘল মার্বেল প্রাসাদের দপ্তর থেকে শুরু হলো এর যাত্রা। বৈশাখের প্রথম সূর্যোদয়ে জমিদারি খাতায় খোলা হত নতুন পাতা, কৃষকেরা জমি চাষের ফিরিস্তি দিত, আর রাজকোষে জমা হত সোনালি শস্যের কর। কিন্তু বাংলা সন শুধু রাজস্বের খাতায় আটকে থাকেনি—এটি মিশে গেল লোকায়ত জীবনের অন্দরমহলে। মেঘনা-পদ্মার চরে জেলে সম্প্রদায়ের নৌকাবাইচ, বরেন্দ্রভূমির কুমারদের উলু ধ্বনি, সিল্ক রুটের বণিকদের হালখাতা—সবকিছুর সঙ্গেই জড়িয়ে গেল এই পঞ্জিকা। এমনকি সুফি সাধকদের মাজারে আয়োজন হতো বৈশাখী মেলা, যেখানে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল উরসের মিষ্টান্ন আর ভক্তির গান।

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার অন্ধকারেও বাংলা সনের আলো নিভে যায়নি। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাগুজে নথিতে ইংরেজি তারিখের পাশাপাশি জায়গা করে নিল বাংলা মাসের নাম। ১৯৪৭-এর দেশভাগের পর পূর্ব বাংলায় বাংলা সন হয়ে উঠল ভাষা আন্দোলনের প্রতীক। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি যেমন মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার লড়াই, তেমনি ১৯৬৬ সালে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে সংস্কার করা হলো বাংলা পঞ্জিকা, বৈশাখের শুরু নির্ধারিত হলো ১৪ এপ্রিলে, যেন গ্রেগরিয়ানের সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকে। ১৯৬৭ সালে পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক বিদ্রোহের নিদর্শন হিসেবে রমনার বটমূলে শুরু হয় ছায়ানটের সঙ্গীতানুষ্ঠান। এটি পূর্ব পাকিস্তানে এক সাংস্কৃতিক প্রতিরোধের ইশতেহারে পরিণত হয়, যা পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উদ্দীপ্ত করে। রবীন্দ্রনাথের “এসো হে বৈশাখ” গানটি হয়ে ওঠে বাঙালি জাতীয়তাবাদের অঘোষিত সঙ্গীত। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীরা শুরু করেন শোভাযাত্রা, যা ২০১৬ সালে ইউনেস্কোর “অমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” তালিকায় স্থান পায়। ২০০১ সালের পরবর্তী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রেক্ষিতে এই শোভাযাত্রা এক অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। শোভাযাত্রায় লেখা হয়েছিল “মানুষ হোন, মানুষ রাখুন”। এটি শুধু এক সাংস্কৃতিক স্লোগান ছিল না, বরং একটি জাতির বৃহত্তর ঐক্যের ঘোষণা। পহেলা বৈশাখের প্রতিটি উৎসবে, এই ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রার মাধ্যমে আমরা আজও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, মানবতার পক্ষে মিলিত কণ্ঠে প্রতিবাদ জানাই।

মোগল আমলের রাজকীয় ফরমান থেকে আজকের ডিজিটাল ক্যালেন্ডার পর্যন্ত বাংলা সনের যাত্রাপথে লেগেছে রক্ত, ঘাম আর আনন্দের ছাপ। এটি শুধু সময়ের পরিমাপ নয়, বাঙালির অস্তিত্বের দলিল। যেমন আকবর চেয়েছিলেন, তেমনই এই পঞ্জিকা আজও সাক্ষী দেয়: বাংলার ঋতুচক্র, তার মানুষের স্বপ্ন, আর সংস্কৃতির অমরত্ব—এই তিনের মেলবন্ধনেই অম্লান বাংলা নববর্ষ।

🔴 উৎসব মুখর বাংলাদেশের বৈশাখ

বাংলার বৈশাখ এক অবিচ্ছিন্ন উৎসবধারা, যা ছড়িয়ে পড়ে দেশের প্রতিটি প্রান্তে। রাজধানীর রাজপথে শোভাযাত্রার গর্জনে যেমন প্রাণ খেলে যায়, তেমনি পল্লীর মেঠোপথেও বৈশাখ নামে ঢাক-ঢোলের ছন্দে। কুঁড়েঘরের উঠোন থেকে শুরু করে শহুরে অট্টালিকার ছাদ পর্যন্ত, সর্বত্র বৈশাখের ছোঁয়া—প্রাণের রঙে রঙিন হয়ে ওঠে জনজীবন।

দেশজুড়ে আয়োজিত হয় গ্রামীণ মেলা, লাঠিখেলা, হা-ডু-ডু, নৌকাবাইচ, বাউলসঙ্গীত ও জারিগানের আসর। কোথাও আবার নাট্যমঞ্চে উঠে আসে লোকজ নাটক—গম্ভীরা, যাত্রা। স্কুল-কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, স্থানীয় ক্লাব থেকে সাংস্কৃতিক সংগঠন—সবাই আয়োজন করে বৈশাখী উৎসব। পথে ঘাটে ভেসে আসে চিরচেনা গান, “এসো হে বৈশাখ, এসো এসো…”

এ যেন এক সর্বব্যাপী প্রাণের উৎসব। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে খুঁজে ফেরে বাঙালি পরিচয়ের রঙিন ছায়া। এই বৈশাখ আমাদের শুধু আনন্দই দেয় না, আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে, স্মরণ করিয়ে দেয়—আমরা একটাই জাতি, একটাই শিকড়।

🔴 সাংস্কৃতিক সমাহার: রঙে, স্বাদে, শব্দে

পহেলা বৈশাখ বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসবই নয় বরং এটি বাঙালি সংস্কৃতির এক বিস্ময়কর সমাহার। যেখানে একে অপরের সাথে মিশে যায় ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা। শহর থেকে গ্রাম, পাহাড়ি অঞ্চল থেকে সমতল—প্রত্যেকটি স্থানে বৈশাখের উৎসবের এক বিশেষ পরিবেশ তৈরি হয়, যা একে অন্যকে ছুঁয়ে দিয়ে বাঙালির বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক চিত্রকেই তুলে ধরে।

বৈশাখের সকাল শুরু হয় ঢাকার রমনা বটমূলে ছায়ানটের সঙ্গীতের মূর্ছনায়। সেখানে একসাথে মিলিত হন নানা শ্রেণি, নানা সম্প্রদায়, নানা বয়সী মানুষ, যেখানে বাঙালির জাতিগত বৈচিত্র্যের প্রমাণ মেলে। তবে শুধু শহরেই নয়, গ্রামীণ এলাকা এবং পাহাড়ি অঞ্চলেও বৈশাখী আনন্দের ঝংকার শোনা যায়। প্রত্যেক জায়গাতেই তার নিজস্ব রীতিনীতি, গান, নাচের আয়োজন থাকে, যার মাধ্যমে বাঙালির একতার অমলিন চিত্র ফুটে ওঠে।

শোভাযাত্রার মাধ্যমে সাঁওতাল, গারো, বাঙালি, আদিবাসী সকলের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও বিশ্বাস একত্রিত হয়ে উদযাপিত হয়ে থাকে । রাজধানী থেকে গ্রাম, শহর থেকে মফস্বল সব জায়গায় আয়োজিত হয় হালখাতা, মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী, প্রতিযোগিতা, লোকজ খেলা।

এই দিনটি শুধু সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উৎসবই নয়, এটি বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হালখাতা বা ব্যবসায়িক আয়োজনে পুরনো হিসাব মিটিয়ে নতুনভাবে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপন হয়। মেলা বা বাজারে নানা ধরনের পণ্য বিক্রি হয়, যেখানে একটি নতুন সম্পর্কের সূচনা হয়। তৈরী হয় মেলবন্ধনের এক ক্ষণিক উপলক্ষ । বৈশাখী খাবারেরও রয়েছে বিশেষ স্থান। পান্তা-ইলিশ, ভর্তা, মিষ্টি, চিড়ামুড়ি, পিঠা-পায়েশে বাঙালির ঐতিহ্য এক ভিন্ন মাত্রায় জীবন্ত হয়ে ওঠে। এসব খাবার বাঙালি সংস্কৃতিরই পরিচয় ফুটিয়ে তোলে।

পহেলা বৈশাখ শুধুমাত্র একটি উৎসবের দিনই নয়, এটি বাঙালির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতা এবং সমৃদ্ধির এক অপূর্ব মেলবন্ধন। যেখানে সংস্কৃতির প্রতিটি দিক একসাথে মিলিত হয়ে বাঙালি সমাজের গভীর ঐক্য এবং সম্পর্কের দ্যোতনা দেয়।

🔴 সম্প্রীতির মেলবন্ধন ও সমকালীন চ্যালেঞ্জ

পহেলা বৈশাখ বাঙালির অসাম্প্রদায়িকতার শ্রেষ্ঠ উদযাপন। এই দিনে, বাঙালি জাতি তার পুরনো ঐতিহ্যের সঙ্গে বর্তমানের সম্মিলনে এক হয়ে যায়। প্রত্যেকটি ধর্ম-বর্ণের মানুষ যেন এক প্লাটফর্মে এসে উদযাপন করে তাদের জীবনকে, এবং এই মিলনমেলা প্রদর্শন করে সেই বহুমাত্রিক সংস্কৃতির পরিচয়, যা চিরকাল বাঙালির স্বত্বার মূল। আজও দেখা যায়, ঢাকার বড় বড় মেলায় কিংবা গ্রামীণ উৎসবে হিন্দু-মুসলিম, খ্রিষ্টান-বৌদ্ধ সকল সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রে বৈশাখী খাবার উপভোগ করে, মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে, গানের সুরে মেতে ওঠে। কিন্তু একই সঙ্গে, আজকাল এই উৎসবের বাণিজ্যিকীকরণ কিছুটা চ্যালেঞ্জও হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরে বড় বড় শপিংমল ও দোকানে বৈশাখী কালেকশন চালু হয়ে গেছে, যার ফলে উৎসবের মৌলিক বিষয়বস্তু কিছুটা ভিন্ন দিকে চলে যাচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো পরিবেশের ক্ষতি, কারণ প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি উৎসবের শেষে জমে থাকে বিশাল পরিমাণ বর্জ্য। তবুও, আশার কথা হলো যে কিছু পরিবেশ সচেতন সংগঠন এবং শিক্ষার্থীরা এখন মেলায় বিক্রি হওয়া প্লাস্টিকের বদলে কাগজ, পাট বা অন্যান্য পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহার করছেন। এমনভাবে, পহেলা বৈশাখের আসল বার্তাকে সঠিক পথে রক্ষা করার চেষ্টা চলছে, যাতে ভবিষ্যতেও এটি বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব হিসেবে টিকে থাকে।

🔴 বৈশাখে ফেরার ডাক

আজকের বৈশাখ শুধু অতীতের স্মরণ নয়, বরং ভবিষ্যতের আলোকবর্তিকা। যখন ধর্মান্ধতা আর বিভেদের বিষ ছড়িয়ে পড়ে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে, তখন পহেলা বৈশাখ আমাদের শেখায়—সহাবস্থানই শক্তি, বৈচিত্র্যই সৌন্দর্য। লাল-সাদা শাড়ি, পাঞ্জাবি আর মঙ্গল শোভাযাত্রার বর্ণচ্ছটা যেন বলছে—এই দেশ সবার, এই মাটি ভালোবাসার। এই দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—আমরা কেবল ভোক্তা নই, সংস্কৃতির ধারক। আমরা শুধু ইতিহাসের উত্তরসূরি নই, ভবিষ্যতের নির্মাতাও।
তাই বৈশাখে সাজিয়ে তুলতে হবে শুধু শরীর নয়, মানবতাকেও। রাঙিয়ে তুলতে হবে শুধু উঠোন নয়, হৃদয়কেও। বৈষম্যের দেয়াল ভেঙে, বাঙালিয়ানা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গড়ে তুলতে হবে এমন এক আগামী, যেখানে প্রত্যেক পহেলা বৈশাখ হবে মিলনের, মুক্তির ও নবযাত্রার অনন্য প্রতীক।

এই নববর্ষে প্রতিজ্ঞা হোক—সবার জন্য একরঙা আকাশ, একরকম ভালোবাসা, আর নির্ভীক এক আগামী।

♦️তথ্যসূত্র:

১) আকরাম হোসেন , বাংলা সনের ইতিহাস, বাংলা একাডেমি

২) আবু সাঈদ মুহাম্মদ ওমর, বাংলা সাল ও ক্যালেন্ডারের ইতিহাস, ইসলামিক ফাউন্ডেশন

৩) ইমতিয়াজ আহমেদ (সম্পা.), ভারতের ইতিহাস (মুঘল পর্ব), পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পাঠ্যপুস্তক সংসদ

৪) সৈয়দ আবুল মকসুদ, জাতিসত্তার সংকট ও পহেলা বৈশাখ, প্রথম আলো কলাম, ২০০২

৫) আনিসুজ্জামান, কাল নিরবধি, বাংলা একাডেমি

৬) ড. মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাস,
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়

৭) আহমেদ কামাল, মধ্যবিত্ত এবং সংস্কৃতির রাজনীতি,
প্রবন্ধ সংকলন, সংহতি প্রকাশন

৮) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সভ্যতার সংকট

৯) নজরুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সংগ্রামের প্রতিধ্বনি, বাংলা একাডেমি

১০) জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়, উৎসব ও চেতনার সমাজতত্ত্ব, বিশ্বভারতী

◾লেখক:

মো: বাহাউদ্দিন গোলাপ
ডেপুটি রেজিস্ট্রার,
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

01712070133
b_golap@yahoo.com