মুগ দেশের অন্যতম ডালফসল। আর চাষাবাদের জন্য বরিশাল এর জনপ্রিয় অঞ্চল। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগের এই দক্ষিণাঞ্চলে এর উৎপাদন বাড়াতে বিনামুগ-৮ যথেষ্ট সহায়ক হবে। কেননা, এই জাতের ডাল প্রথমবারেই শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি শস্য তোলা যায়। যদিও বারি মুগ-৬’র ক্ষেত্রে ততটা সম্ভব নয়। এছাড়া জাতটি খরা সহ্য করতে পারে। জীবনকালও কম। ফলন হয় আশানুরূপ। তাই সুষ্ঠু সার প্রয়োগ এবং সময়মত যত্ন-আত্তি করলে হেক্টরপ্রতি ২ টন ফলন পাওয়া সম্ভব। বরিশাল সদরের হিজলতলায় বিনামুগ-৮’র মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিনার মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, কেউ কেউ একই ফসলের জন্য ডিএপি এবং ইউরিয়া সার প্রয়োগ করে থাকেন, যা ঠিক নয়। যেহেতু উভয় সার নাইট্টোজেন সরবরাহ করে, তাই ডিএপি দিলে ইউরিয়া দেয়ার প্রয়োজন নেই।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন জানান, বিনা উপকেন্দ্র এবার বরিশাল অঞ্চলের জন্য প্রদর্শনী এবং বীজ সহায়তা হিসেবে কৃষকের মাঝে বিনা মুগ-৮’র ২.৬ টন বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করেছে। চলতি বছর দক্ষিণাঞ্চলের ২,০০,৫০৩ হেক্টর জমির মধ্যে বরিশালে মুগডালের উৎপাদন হয়েছে ২৪,৬০০ হেক্টর, পিরোজপুরে ৭,১২৩ হেক্টর, ঝালকাঠিতে ২,৬২৭ হেক্টর, পটুয়াখালীতে ৮৮,৮৯১ হেক্টর, বরগুনায় ৪৮,৬০৭ হেক্টর এবং ভোলায় ২৮,৬৫৫ হেক্টর।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মাহবুবুল আলম তরফদার এবং উপপ্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাজমুন নাহারের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক, বিনার সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাজী এনায়েত হোসেন, কৃষক ইউছুব আলী হাওলাদার, মো. সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রমুখ।