• ১৬ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩রা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ


বানারীপাড়ায় যৌথ বাহিনীর হাতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হত্যাকান্ডের আসামী গ্রেপ্তার 

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত এপ্রিল ১৬, ২০২৫, ১৫:০৭ অপরাহ্ণ
বানারীপাড়ায় যৌথ বাহিনীর হাতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হত্যাকান্ডের আসামী গ্রেপ্তার 

বানারীপাড়া(বরিশাল) সংবাদদাতা: বানারীপাড়া উপজেলার আউয়ার দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র আল-ইয়াসিন (১৪) হত্যা মামলার আসামী শিক্ষক মো. রায়হান হাওলাদারকে (২৬) গ্রেফতার  করেছে যৌথ বাহিনী।

রোববার ১৩ এপ্রিল সকালে বানারীপাড়া থানা থেকে তাকে বরিশাল জেলহাজতে পাঠানো হয়। গত শনিবার ১২ এপ্রিল দুপুরে ঢাকার  মিরপুর শাহআলী এলাকা থেকে র‌্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে ৭ মাস পরে রায়হানকে গ্রেফতার করা হয় বলে বানারীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক চন্দন কুমার রায় জানান।

ইয়াসিন সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের আউয়ার দারুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। ইয়াসিন ২৪ পারা পর্যন্ত কোরআন শরিফ আয়ত্ত করেছিল।  সে একই উপজেলার চাখার ইউনিয়নের বড়  চাউলাকাঠি গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।   

মামলা সুত্রে জানা যায়, গত ১৭ অক্টোবর দুপুরে মাদ্রাসা থেকে ইয়াসিন নিখোঁজ হয়। তার মাকে ফোন করে অধ্যক্ষ আব্দুর রব মিয়া জানান, ইয়াসিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরের দিন বিকেলে কবির মোল্লার স্ব-মিলের উত্তর পাশে খালে ইয়াসিনের মরদেহ পাওয়া যায়।  পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে  ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। ইয়াসিনের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হলে এর প্রতিবাদে ওই সময় এলাকাবাসী মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।

মামলার বাদী ইয়াছিনের ভাই রুম্মানের অভিযোগ, অধ্যক্ষ আব্দুর রব মিয়া মাদ্রাসার আশপাশে খুঁজতে না দিয়ে তাদের ভিন্ন পথে নিয়ে খোঁজার চেষ্টা করেন। 

মৃত্যুর ৯ দিন পর তার বড় ভাই আল-রুম্মান (২১) বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে বানারীপাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মালার আসামিরা হলেন- মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রব মিয়া (৫৫), তাঁর ছেলে সাইফুল্লাহ (২৪), শিক্ষক মো. রায়হান (২৬) হাওলাদার, আহমাদুল্লাহ আহম্মদ (২৫) ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলমগীর হাওলাদার (৫৫)। তাদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ইয়াসিনকে হত্যা ও মরদেহ গুমের উদ্দেশ্যে খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। মামলা দায়েরের পর গ্রেফতার এড়াতে আসামীরা আত্মগোপনে চলে যান।#