আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০
শামীম আহমেদ
ঢাকা থেকে বরিশালগামী এমভি পারাবত-১১ লঞ্চের কেবিনে ধর্ষণের হত্যা পর শ্বাসরোধ করে হত্যাকান্ডের শিকার নারীর লাশের পরিচয় মেলার পর পরিবারের সদস্য বাবা ও ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হত্যা কান্ডের ঘটনায় বরিশাল সদর নৌ থানার এসআই অলক চৌধুরী বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী উলেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে বরিশাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে ওই নারীর লাশ শনাক্ত করে তার পরিবারের সদস্যরা। রাতে তাদের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করে নৌ পুলিশ।
নৌ পুলিশ সূত্র জানায়, নিহত নারীর নাম জান্নাতুল ফেরদৌস লাবনী (২৯)। তার বাবার নাম আব্দুল লতিফ মিয়া। দুই শিশু ছেলের জননী লাবনীর স্বামী একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান। বাবা আব্দুল লতিফ মিয়া ও মা মমতাজ চোধুরীর সঙ্গে ঢাকার পলবী-২ নম্বর এলাকার বাসায় থাকতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি ভাঙ্গা এলাকায়। লাবনী উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলো। এক ভাই তিন বোনের মধ্যে লাবনী সবার ছোট।
চাকুরী পাওয়ার প্রলোভনে সোমবার ঢাকার সদরঘাট থেকে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে লঞ্চযোগে বরিশাল আসছিলো লাবনী। ওই দিন রাত ৯টা পর্যন্ত লাবনীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় তার বাবার। পরদিন সোমবার সকালে লঞ্চের ৩৯১ নং কেবিন থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডি’র ক্রাইম সিন ইউনিটের পরিদর্শক আল মামুনুর রশিদ। তবে তার সঙ্গে থাকা ওড়না ও ব্যাগসহ অন্যান্য আলামত নিয়ে যাওয়ায় পুলিশ তাৎক্ষণিক ওই নারীর পরিচয় উদঘাটন করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত আংগুলের ছাপ অনুযায়ী তার পরিচয় উদঘাটন করে পুলিশ। সে অনুযায়ী তার স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে বরিশাল মর্গের হিমঘরে ওই নারীর লাশ শনাক্ত করে তার বাবা আব্দুল লতিফ এবং ভাই মোক্তার মিয়া।
এর পূর্বে রোববার মর্গে ওই নারীর লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় ওইদিনই নৌ থানার উপ-পরিদর্শক অলক চৌধুরী বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী উলেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সদর নৌ থানার ওসি আবদুলাহ-আল মামুনকে।
তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক আবদুলাহ-আল মামুন বলেন, স্বজনরা শনাক্ত করার পর ওই নারীর লাশ তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অভিযুক্ত ঘাতককে সনাক্ত করতে পারলেও তদন্তের স্বার্থে তার পরিচয় প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করেন পুলিশ পরিদর্শক আবদুলাহ-আল মামুন।