আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০১৯
মুলাদী প্রতিবেদক ॥ মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কাউন্সিলকে সামনে রেখে হাইব্রিড প্রার্থীর নামের গুঞ্জনে তৃনমুলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। জানাগেছে, সফিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে একাধীক প্রার্থীর নামের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে যাদের মধ্যে একজন প্রার্থী হাইব্রিড বলে দাবী করেছে স্থানীয় তৃনমুল আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয় আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা জানান, ২০০১সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সফিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে আওয়ামীলীগ পরাজিত হওয়ার পরে সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মুন্সি কে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয় যার নেতৃত্বে সেই নুরু মল্লিকই আসন্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে নিজেকে ওয়ার্ড সভাপতি প্রার্থী হিসেবে দাবী করায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্ঠি হয়েছে। শুধু তাই নয় ২০০১সালে সফিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোতালেব সরদারকে গভীর রাতে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্জন এলাকায় বসে তার হাত-পা ভেঙ্গে পঙ্গু করে দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
মুলাদী উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আঃ সালামকে মারপিঠ করে গুরুতর আহত করেছেন নুরু মল্লিক বলে জানাগেছে। তার পিতা হামেদ মল্লিক সফিপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। ২০০১সালে হিজলা-মুলাদীর তৎকালিন এমপির আর্শিবাদ পুষ্টহয়ে আওয়ামীল নেতাকর্মীদের উপর একাধীক হামলা চালিয়েছেন বলেও জানাগেছে। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি সহ একাধীক মামলা রয়েছে এবং জাল টাকার মামলায় তিনি সাজা ভোগ করে আসছেন বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় এক কেন্দ্রীয় জাপার নেতার ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন এলাকায় দাপুটে চলাফেরা করতেও দেখা গেছে তাকে। তার বড় ভাই ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছে বলে জানাগেছে। এধরনের হাইব্রিড নেতাদের যেন আওয়ামীলীগের কিমিটতে অন্তভুক্ত করা না হয় সে ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন স্থানীয় ত্যাগী নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।