আপডেট: জানুয়ারি ৩, ২০২০
শীত যেন পালিয়েই গেল। এমনটাই বলছিলেন বরিশাল নগরীর বাসিন্দারা। গত কয়েক দিন রোদ থাকায় বরিশালসহ দেশের বেশ কিছু এলাকায় তীব্র শীত অনুভূত হয়নি। ডিসেম্বরের শেষ দিকে লেপ-কম্বল দিয়েও যখন মানছিল না শীত, আর জানুয়ারির শুরুতে দেখা গেল শহরের অনেক দোকানপাট, বাসায় ফ্যান ছাড়া হচ্ছে। তবে হঠাৎকরেই বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে অবারিত বৃষ্টি ঝরছে রাজধানীতে। সকালে সেই বৃষ্টি ইলিশে গুঁড়ি বৃষ্টি রূপ নেয়।
এতে শুক্রবার ঘুম থেকে উঠেই অন্যরকম এক আবহাওয়া উপভোগ করছেন নগরবাসী। বৃষ্টির ঠাণ্ডাপানি শীত নিয়ে আসা শুরু করেছে। একে তো ছুটির দিন তার ওপর বৃষ্টি; তাই বরিশালের সকালের রাস্তা অন্যান্য দিনের চেয়ে তুলনামূলকভাবে ফাঁকা। কর্মজীবী মানুষের অফিসে যাওয়া তাড়া নেই দেখে লেপের খোলস থেকে বের হননি। গণপরিবহনের চাপ একদমই নেই। এমনকি পাড়া-মহল্লায় রিকশার দেখাও কম মিলেছে।
অবশ্য, ২০২০ সালের শুরুতে বৃষ্টি হবে আর ফের শীত নিয়ে আসবে এই বৃষ্টি এমনটা জানাই ছিল নগরীর বাসিন্দাদের। আবহাওয়া অধিদফতর পূর্বাভাস ছিল, জানুয়ারির শুরুতে বৃষ্টি হবে। এর পরই আসছে হাড়কঁপানো শীত।
এ ছাড়া আবহাওয়া অধিদফরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি জানুয়ারি মাসে দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে দুটি শৈত্যপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। মাসের বিভিন্ন সময়ে স্বাভাবিক বৃষ্টিও হতে পারে। এর ফলে গত ডিসেম্বরের চেয়ে এ মাসে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, দেশের বেশিরভাগ এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় শীতের তীব্রতা বাড়বে। এদিকে জানা গেছে, দেশের কয়েকটি এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে মৃদু বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারে, যার পরিমাণ ১১ মিলিমিটার। রংপুরের বেশিরভাগ জেলায় চার থেকে পাঁচ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার বৃষ্টি হয়েছে চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুরসহ আরও কয়েক জেলা সদরে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ ছিল ২৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।