আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
নিহত আমেনা (১১) পার্শ্ববর্তী বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের কাঞ্চণপুর গ্রামের মুমিনুল হকের মেয়ে এবং ওই মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
সে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে মাদ্রাসার হোস্টেলে থাকত।
এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাদ্রাসার অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা ও সহকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে আটক করেছে।
এটি হত্যা না আত্মহত্যা এই নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন চলছে।
স্থানীয়রা বলছেন, ফাঁসির দৃশ্য দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
এই ঘটনায় রাতেই বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ছাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ দায়ী করে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে মিছিল করে এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
নিহতের মা সেলিনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করে বলেন, মেয়ে আমার ফাঁসি দেয়নি, হত্যা করে তাকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানার ওসি রনোজিত রায় বলেন, লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সকালে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হবে।
প্রাথমিক তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অধ্যক্ষ ও সহকারী শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বলা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।