১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

লকডাউনে যেভাবে পাল্টে গেল মধ্যবিত্তের জীবন

আপডেট: এপ্রিল ২৩, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

করোনাভাইরাসের মহামারি ঠেকাতে নজিরবিহীন লকডাউন চলছে। আর লকডাউনের এ সময়ে মধ্যবিত্তের জীবনযাপন পাল্টে গেছে।

এই প্রথমবারের মতো সমস্ত মধ্যবিত্ত ও উচ্চ-মধ্যবিত্ত শ্রেণি পুরো এক মাস গৃহপরিচারিকার সাহায্য ছাড়াই সংসার চালাতে বাধ্য হয়েছেন।

নারীরা বলছেন, প্রাথমিকভাবে বেশ কষ্ট হলেও তারা এখন এই কাজের লোকবিহীন জীবনেই বেশ অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন।

পরিবারের সব সদস্যই বাড়ির কাজে হাত লাগাচ্ছেন; যা আগে তাদের হয়তো কখনও করতেই হয়নি।

ভারতের দিল্লির একটি বহুতল ভবনের বাসিন্দা ঋতুপর্ণা চ্যাটার্জি।

তিনি বলেন, প্রথম যখন লকডাউন ঘোষণা হলো মাথায় যেন বাজ পড়েছিল। কীভাবে এত কিছু ম্যানেজ করব কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না।

নতুন এক জীবনধারা

বস্তুত পশ্চিমা দুনিয়ায় একজন গৃহপরিচারিকা রাখতে পারাটা চরম বিলাসিতা বলেই ধরা হয়।

কিন্তু এই উপমহাদেশের মধ্যবিত্তর কাছে এই কাজের লোক দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ বলা যেতে পারে।

কিন্তু গত এক মাস ধরে বাড়ির রান্না, বাসন মাজা বা ঘর ঝাড়ামোছার কাজে তাঁদের সাহায্য পাওয়ার কোনও রাস্তা নেই।

এ পরিস্থিতি মধ্যবিত্ত সংসারের কর্ত্রীদের নতুন এক জীবনধারায় অভ্যস্ত করে তুলেছে।

ঋতুপর্ণা চ্যাটার্জি জানান,  তাঁর সঙ্গে বৃদ্ধ বাবা-মা থাকেন, স্বামী এই মুহূর্তে কোয়ারেন্টিনে, একটা অল্প বয়সের ছেলে আছে।

তাঁদের একেকজনের একেক রকম রান্না, বাজারহাট, তার ওপর নিজের অফিসের কাজ।

সব মিলিয়ে যাকে বলে একেবারে নাজেহাল দশা।

আর আগে কোনও দিন যেহেতু সবকিছু এভাবে একা একা করিনি, তাই আরও অসহায় লাগছিল।

কারো সঙ্গে খিটমিট নেই

দিল্লির কাছে গুরুগাঁওতে মেয়ে-জামাইকে সঙ্গে নিয়ে থাকেন সত্তর ছুঁই-ছুঁই কেয়া দে।

তিনি বলেন, বাড়ির সবাই হাত লাগানোতে রোজকার কাজগুলো এখন আর তত কঠিন মনে হচ্ছে না।

বাড়ির সবাই মিলে করছি বলেই কাজগুলো ঠিক উতরে যাচ্ছে।

ওরা তো অনলাইনে কাজ করছে।

তার ফাঁকে ফাঁকেই যে যখন পারছে এসে হাত লাগাচ্ছে।

কেয়া দে বলেন, আর একটা জিনিসও দেখছি, নিজেরা করলে কিন্তু অনেক তাড়াতাড়ি হয়, পরিষ্কারও থাকে।

আবার কারও সঙ্গে কোনও খিটমিটও হয় না!

তবে একটি বিষয় নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে আর তা হলো গৃহকর্মীদের বেতন।

বামপন্থী শ্রমিক নেত্রী ও সাবেক এমপি বৃন্দা কারাট বিবিসিকে বলেন, দিল্লির বহু সচ্ছল পরিবারেও ছবিটা কিন্তু একেবারেই উল্টো।

বৃন্দা কারাটের কথায়, তারা তো ডোমেস্টিক ওয়ার্কারদের মাইনেই দিচ্ছে না।

গতকালই আমরা দিল্লির জমরুদপুর ব্লকে গিয়ে সেটার প্রমাণ পেয়েছি।

সেখানে মূলত ইউপি, বিহার থেকে আসা নারীরা লাজপাত নগরের মিডল ক্লাস ফ্যামিলিগুলোতে গৃহকর্মীর কাজ করেন।

কিন্তু মাইনে চেয়ে যোগাযোগ করতে গেলে তাদের মালিকরা কথাই বলছে না, ফোন পর্যন্ত ধরছে না।

বাড়িতে ‘কোয়ালিটি টাইম’

তবে এই প্রতিবেদনের জন্য যতজনের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁরা প্রত্যেকে নিজেদের গৃহকর্মীদের পুরো বেতন এর মধ্যেই মিটিয়ে দিয়েছেন।

যেমন দিয়েছেন দিল্লির উপকণ্ঠে নয়ডার বাসিন্দা নূপুর গুপ্ত। পেশায় শিক্ষিকা, তাঁকে এখন রোজ অনলাইন ক্লাস নিতে হচ্ছে।

কিন্তু স্বামী ও বাচ্চারা নিজে থেকে এগিয়ে এসে ঘর মোছা বা বাসন মাজার দায়িত্ব কাঁধে নেয়ায় তিনিও অনেকটাই নিশ্চিন্ত।

গুপ্তা বলেন, আমার স্বামী বা বাচ্চারা বারবার বলছে, তোমাকে ওগুলো নিয়ে ভাবতেই হবে না। আর আমি তো দেখছি, যখন ডোমেস্টিক হেল্পাররা ছিল তারচেয়ে এখনই পরিবারের সবাই মিলে অনেক বেশি ‘কোয়ালিটি টাইম’ কাটাতে পারছি

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network