আপডেট: এপ্রিল ২৯, ২০২০
বানারীপাড়া প্রতিনিধি
বানারীপাড়ায় স্বামী ও শশুরালয়ের নির্যাতনে রুমা বেগম নামের এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করার পর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সোমবার থানার ওসি (তদন্ত) মো.জাফর আহম্মেদ উপজেলার উদয়কাঠী ইউনিয়নের গোয়ালিয়ারপার গ্রামের ঘটনাস্থল তদন্ত করেণ।
এ সময় তিনি প্রাথমিক তদন্তে স্বামী ও তার পরীবার গৃহবধূকে নির্যাতন করার তথ্য পান।
তবে মামলার স্বার্থে এব্যাপারে এখনই মূখ খুলতে চাইছেন না তদন্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মো.জাফর আহম্মেদ।
রোববার তিনি জানান, স্বামীর পরীবারের নির্যাতনে গৃহবধুর মৃত্যুর পর লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখার ঘটনার তদন্ত চলছে।
তদন্ত শেষ হলে অচিরেই এ ব্যাপারে আদালতে জচুরান্ত প্রতিবেদন দবখিল করবেন বলে ওই কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানান।
এব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ শিশির কুমার পাল জানান, স্বামী ও শশুর পরিবারের নির্যাতনের পর গৃহবধু রুমার লাশ ঝুলিয়ে রাখার খবর পেয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার গোয়ালিয়ারপার গ্রামের কাঁঠব্যাবসায়ী মো.মিলন বেপারীর বসত ঘরের টিনের চালার রুয়ার সাথে গলায় ওড়র্ণা দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার স্ত্রী রুমা বেগম (২৮)’র ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেণ।
এসময় তারা ওই লাশের সুরাতহাল রিপোর্ট শেষে থানায় নিয়ে আসেন।
পর দিন শনিবার সকালে রুমার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
এ ঘটনায় ওই রাতেই নিহত গৃহবধু রুমার ভাই শামীম বাদী হয়ে স্বামী মিলন বেপারী ও মিলনের বড় ভাই খোকন বেপারী, ছোট ভাই লিটন বেপারী এবং তার বোন জামাই জাকির হোসেন হওলাদারকে আসামী করে থানায় একটি নারী নির্যাতন ও হত্যা মামলা দায়ের করেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ শিশির কুমার পাল ওই মামলাটি তদন্ত করার জন্য ওসি (তদন্ত) মো.জাফর আহম্মেদকে নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মো.জাফর আহম্মেদ ওই রাতেই নিহত গৃহবধুর স্বামী মিলন বেপরীকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি শনিবার সকালে তাকে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেণ।
এব্যাপারে রুমার ভাই শামীম জানান, শুক্রবার একটি তুচ্ছ ঘটনার জেরধরে তার বোন জামাই মিলন ও তার দুই ভাই এবং ভগ্নিপতি মিলে তার বোন রুমাকে নির্যাতন করে হত্যার পর গলায় ওড়র্ণা প্যাচিয়ে লাশ ঘরের টিনের চালার রুয়ার সথে ঝুলিয়ে রাখে।
সে তার বোনের হত্যাকারীদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক সা¯িÍর দাবী জানানোর পাশাপাশি তার বোনের রেখে যাওয়া দু’টি শিশু কন্যাকে তাদের হেফাজতে রাখার কথা জানান।