১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

গ্রামের মানুষ মাস্ক পড়ে না : স্বাস্থ্যবিধিও মানেনা : সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষিত

আপডেট: জুলাই ২৫, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
মোরা গ্রামের মানু মোগো মুখশ পড়া লাগে না। করোনা মরোনা মোরা ডরাই না। বেইন্ন্যাহালে খ্যাতে নামি আর সোন্দায় উডি। করোনায় মোগো কি হরবে? করোনা মোগো কিছু হরতে পারবে না। এ কথা বলেছেন আমতলী উপজেলা হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ রাওগা গ্রামের ষাটোর্দ্ধ ফোরকান সিকদার। সরকারী নির্দেশনা গ্রামের মানুষ মানছে না। তারা মাস্ক ব্যবহার না করেই হাট-বাজারে ঘোরাফেরা করছে।
জানাগেছে, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে গত ৮ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ২৫ জুলাই আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাত’শ ৬ জনের করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে এক’শ ২৭ জনের নমুনা পজেটিভ হয়েছে। মৃত্যুবরন করেছেন ৭ জন। এর মধ্যে আমতলীতে ৮৫ ও তালতলীতে ৪২ জন। দিন দিন করোনার রোগী বেড়েই চলেছে। কিন্তু রোগী বেড়ে চললেও উপজেলা শহরের মানুষ মাস্ক ব্যবহার করলেও গ্রামের মানুষ মাস্ক ব্যবহার করে না এবং স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলে না। তারা ইচ্ছা মাফিক চলাফেরা করছে। তাদের ধারনা গ্রামের মানুষের করোনা হয় না। তাদের মাঝে করোনার ভীতি নেই। গত জুন মাসে আমতলী উপজেলার ৪৪ টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ১৬ হাজার ৫’শ ২৩ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। এ হিসেবে করোনাকালিন সময়ে গত সাড়ে চার মাসে কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয়া রোগীর সংখ্যা অন্তত ৭৫ হাজার। এর মধ্যে অধিকাংশ জ¦র সর্দি ও কাশির রোগী এবং তারা সকলেই গ্রামের মানুষ। এ হিসেবে উপজেলার প্রায় ঘরে ঘরেই করোনা উপসর্গের রোগী রয়েছে। ঘরে ঘরে সর্দি জ¦র ও কাশি থাকলেও গ্রামের মানুষ করোনা প্রতিরোধ মাস্ক ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।
তালুকদার বাজার, গাজীপুর বন্দর, সোনাখালী, চুনাখালী বাজার, মহিষকাটা, শাখারিয়া, কেওয়াবুনিয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, ঘোপখালী ও টেপুরা উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বাজার। এ সকল বাজারে গ্রামের মানুষ প্রতিদিন সকাল-বিকেল জমায়েত হয়। কিন্তু তারা কেউ মাস্ক ব্যবহার করে না এবং এদের মাঝে করোনা প্রতিরোধে সচেতনা নেই।
উত্তর রাওগা গ্রামের ছালাম মিয়া বলেন, আমরা গরিব মানুষ খেটে-খুটে খাই। আমাদের করোনার ভয় নেই। তাই আমি মাস্ক পড়ি না।
কুকুয়া গ্রামের হানিফা বলেন, মাস্ক কিনেছি কিন্তু পড়িনা। কেননা গ্রামের মানুষের করোনা হয় না।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শংকর প্রসাদ অধিকারী গ্রামের অধিকাংশ মানুষ মাস্ক ব্যবহার না করার কথা স্বীকার করে বলেন, গ্রামের মানুষকে করোনার প্রভাব থেকে মুক্ত রাখার জন্য প্রতিদিন কমিউনিটি ক্লিনিকে সাধারণ মানুষকে মাস্ক ব্যবহার, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার জন্য সচেতনতামুলক সভা করা হচ্ছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, সরকারী নির্দেশনা মতে সকল মানুষকে বাধ্যতামুলক মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network