আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলী পৌরসভার মহিলা কলেজ সড়কের চিহিৃত বখাটে কিশোর গ্যাং লিডার মোঃ নাঈম ইসরামের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আমতলী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপুর্ণ মন্তব্য করায় দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার প্রতিনিধি আমতলী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহাবুদ্দিন পান্না সোমবার রাতে এ অভিযোগ করেন। আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুল ইসলাম মৃধা তার ইউনিয়নের মালেক নামের এক ব্যাক্তিকে মুঠোফোনে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও মামলা তুলে নিতে জীবন নাশের হুমকি দেয়। ওই সময় চেয়ারম্যান মালেকের উকিল অ্যাডভোকেট মহসিন হাওলাদার ও সাংবাদিক শাহাবুদ্দিন পান্নার মৃত মাকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল করেন তিনি। ওই ফোনালাপ গত রবিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এ ঘটনার আমতলীতে নিন্দার ঝড় ওঠে। সাংবাদিকের মাকে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালাগালের প্রতিবাদে আমতলী প্রেসক্লাব নিন্দা প্রস্তাব আনেন। তা ওইদিন রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। আমতলী প্রেসক্লাবের ওই নিন্দা প্রস্তাবকে সংযুক্ত করে আমতলী পৌরসভার মহিলা কলেজ সড়কের চিহিৃত বখাটে কিশোর গ্যাং লিডার মোঃ নাঈম ইসলাম চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম মৃধার পক্ষ নিয়ে সাংবাদিকদের অশ্লীল ভাষায় কটুক্তি করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেয়। এ ঘটনায় সোমবার রাতে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার প্রতিনিধি আমতলী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহাবুদ্দিন পান্না বখাটে নাঈমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আমতলী থানায় অভিযোগ দেন। আমতলী থানার ওসি ওই অভিযোগটি গ্রহন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস দেন।
আমতলী সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ জাকির হোসেন ও পরিতোষ কর্মকার বলেন, একজন বখাটে চিহিৃত কিশোর গ্যাং লিডার নাঈম ইসলাম সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে সাংবাদিকদের মান ক্ষুন্ন করেছে। আইনগতভাবে এর কঠিন শাস্তি দাবী করছি।
আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন সিকদার বলেন, বখাটে নাঈমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা গ্রহন করে গ্রেফতার দাবী করছি।
দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার আমতলী প্রতিনিধি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহাবুদ্দিন পান্না বলেন, আমার মাকে হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম মৃধা অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিয়েছেন যার ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে আমতলী বাসী ক্ষুব্ধ হয়ে নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন। তারই ধারাবাহিকরায় আমতলী প্রেসক্লাব নিন্দা জ্ঞাপন করে প্রেস রিলিজ দিয়েছেন। ২৫ বছর আগে মৃত আমার মাকে নিয়ে কটুক্তি করায় আমি সামাজিকভাবে মান ক্ষুন্ন হয়েছি। এতে আমার শুভাকাঙ্খিরা নিন্দা জ্ঞাপন করায় সাংবাদিকদের কটুক্তি করে নাঈম ইসলাম নামের এক বখাটে কিশোর গ্যাং লিডার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করেছে। যা অত্যান্ত দুঃখজনক। এ ঘটনায় আমি সুবিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।