১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে উন্নীত

আপডেট: অক্টোবর ১৩, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় বেতন কাঠামোর ১৩তম গ্রেডে উন্নীত হলেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। যা আগে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড-১৪ (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) এবং বেতন গ্রেড-১৫ (প্রশিক্ষণ বিহীন) ছিল।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতির পর গেল সোমবার শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে উন্নীত করার নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আদেশে বলা হয়, অর্থ বিভাগের সম্মতিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। মাঠ পর্যায়ে সরকারের এ সিদ্ধান্ত বেশ প্রশংসিত হয়।

আদেশে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯’ অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকের নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক। কিন্তু ইতিপূর্বে ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ১৯৮৩’তে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি এবং পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এইচএসসি। ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক বিধিমালা, ১৯৯১’তে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি এবং পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এইচএসসি। ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৩’তে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এইচএসসি এবং পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে স্নাতক।

এতে বলা হয়, ২০১৯ সালের পূর্বের নিয়োগিবিধির আওতায় যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা ওই নিয়োগবিধিতে যে শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারিত ছিল সে অনুযায়ী নিয়োগ পেয়েছেন। ওই সমস্ত শিক্ষকগণের দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। কাজেই ওই সব বিধিমালার আওতায় নিয়োগপ্রাপ্ত সব সহকারী শিক্ষক অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্রের ১নং শর্তে উল্লিখিত যোগ্যতা/অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বেতন গ্রেড-১৩ পেতে পারেন বলে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করে। ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯ এর বিধি ১০ এ উল্লেখ রয়েছে- ‘(১)এই বিধিমালা কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৩’ রহিত হইবে। (২) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও ওই বিধিমালার অধীন যে সব কার্যক্রম নিষ্পন্ন হইয়াছে তাহা এই বিধিমালার অধীন সম্পন্ন হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।’

আদেশে আরও বলা হয়, শিক্ষাবান্ধব সরকারের এরকম একটি মহতী উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য কোমলমতি শিশুদের শিক্ষাদানে নিয়োজিত শিক্ষকদের বিরাজমান সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ২০১৯ সালের নিয়োগবিধি জারি হওয়ার পূর্বের নিয়োগবিধি অনুযায়ী যারা সহকারী শিক্ষক হিসেবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়োগ পেয়েছেন তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে বেতন গ্রেড-১৩ এর সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network