২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

করোনায় থামেনি বরিশালের পিছিয়ে পড়া ২৩২৬ শিশুর পড়াশুনা

আপডেট: জানুয়ারি ১৫, ২০২১

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

বরিশাল ব্যুরো

করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সারা পৃথিবী লকডাউন হয়ে গেলে থেমে যায় শিশুদের পড়াশুনাসহ সব ধরনের কার্যক্রম। সরকার বিভিন্ন বিকল্প পদ্ধতিতে শিশুদের পড়াশুনার ব্যবস্থা করলেও টিভি, রেডিও বা ইন্টারনেট সুবিধার অভাবে পিছিয়ে ছিলো গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা। এমনই পরিস্থিতিতে বরিশালের বাকেরগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলার ১৩০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম ও ২য় শ্রেনীর ২ হাজার ৩২৬ জন শিশুর সাথে নিবিড় ভাবে কাজ করা শুরু করে ‘শিশুদের জন্য কর্মসূচি’। এই প্রকল্পটি বাকেরগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলায় সেভ দ্য চিলড্রেন এর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগীতা নিয়ে সেইন্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি স্বাভাবিক শিক্ষা ব্যবস্থার বিকল্প বেশ কিছু অভিনব উদোগ গ্রহন করে। এসকল ব্যবস্থা মধ্যে অন্যতম ছিলো শিশুদের জন্য সহজ, বোধগম্য এবং আকর্ষনীয় করে বাংলা ও গণিত বিষয়ে ওয়ার্কবুক বিতরন। বাকেরগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলার ২ হাজার ৩২৬ জন শিশুর মাঝে ওয়ার্কবুক বিতরনের সাথে সাথে তাদের মা-বাবা বা অভিভাবকরা যাতে শিশুদের সহায়তা করতে পারে সেই উদ্যেশ্যে প্রতিটি শিশুর অভিভাবককে অবহিতকরন করা হয়। শিশুদের জন্য কর্মসূচির একঝাক কমিউনিটি সেচ্ছাসেবক প্রতিটি শিশুর বাড়ি পরিদর্শনের মাধ্যমে বাবা মায়েদের অবহিত করে থাকে। সেই সাথে শিশুদের জন্য কর্মসূচির ইউনিয়ন ফ্যাসিলিটেটররা নিয়মিত মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে নিয়মিত ফলোয়াপ করে থাকে। সেইসাথে শিশুদের বাংলা ও অংকের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অভিভাবকদের মোবাইলে নিয়মিত ভয়েজ মেসেজ পাঠানো হয়। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসলে শিশুদের মাঝে ২য় ধাপে আরো সুসজ্জিত, পরিমার্জিত ও সমৃদ্ধ ওয়ারর্কবুক-২ বিতরন করা হয় সেইসাথে ওয়ান টু ওয়ান সাপোর্টের পরিবর্তে কমিউনিটি পর্যায়ে ৩/৪ জনের ছোট ছোট দলে পড়া ও গনিত ক্লাব পরিচালনা করা হয়। এই সকল কাজে কমিউনিটির একনিষ্ঠ অংশগ্রহন কাজগুলোকে আরো বেশি সহজ করে দেয়।

২য় শ্রেনীর ছাত্র আব্দুল্লাহ জানায় “ওয়ারর্কবুক দিয়া পড়া খুব সোজা, ঘরে আম্মা আর মাঝে মাঝে আপারাও পড়া দেখায়া দেছে, আমি ক্লাস টু’র সব পড়া এহন পারি।” অবিভাবকদের গৃহ শিক্ষকে রুপান্তর, ভলান্টিয়ারদের একনিষ্ঠ ও সাহসী অংশগ্রন এবং কমিউনিটির মানুষের ঐকান্তিক সহযোগীতা বাকেরগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলার ২ হাজার ৩২৬ জন পিছিয়ে পড়া শিশু করোনার এই মহামারিতেও মান সম্মত শিক্ষা গ্রহনের মাধ্যমে পরবর্তী শ্রেনীতে উন্নিত হয়েছে। এ ধরনের ব্যবস্থা সকল উপজেলার শিশুদের জন্য করা গেলে আরো ভালো ফলাফল আসত বলে মনে করে এলাকাবাসী।

সেইন্ট বাংলাদেশের শিশুদের জন্য প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেন ডেবিট বলেন, প্রান্তিক শিশুদের স্বাভাবিক গতিতে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা কাজ করেছি। করোনার কারণে যেভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছিল, তা থেকে এই প্রকল্প ওয়ারর্কবুকের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিয়েছে। এ জন্য কমিউনিটির অংশ গ্রহন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেইন্ট বাংলাদেশের শিশুদের জন্য প্রকল্পের সমন্বয়কারী গোপাল চন্দ্র শীল বলেন, কোবিটের সময় শিশুদের পড়াশোনা থমকে যায়। সে সময় প্রান্তিক শিশুদের মাঝে ওয়ারর্কবুক বিতরণের মাধ্যমে তাদের পড়াশোনা অব্যহত রাখা হয়। এই কার্যকর্ম অব্যাহত থাকবে। এ ব্যাপারে সেইভ দ্যা চিলড্রেন এর ডেপুটি ম্যানেজার (মৌলিক শিক্ষা) মো: খলিলুর রহমান বলেন, করোনার কারণে স্কুল বন্ধ ছিল। সেই সময় ওয়ারর্কবুকের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়। বিশেষ করে বাংলা ও গনিতে নানা ভাবে খেলার ফলে এই শিক্ষা দেয়া হয়। স্কুল খোলার পরও আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি এর ব্যাপকতাও বাড়তে পারে। ##

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network