২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

রিমান্ডে নিয়ে নারী আসামিকে যৌন নির্যাতন : উজিরপুরে দুই ওসি প্রত্যাহার

আপডেট: জুলাই ৫, ২০২১

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

উজিরপুর(বরিশাল) প্রতিনিধি:
রিমান্ডে নিয়ে নারী আসামিকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগের ঘটনায় উজিরপুর থানার ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহার হওয়া দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন, উজিারপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল আহসান ও পরিদর্শক (তদন্ত) মাইনুল ইসলাম। বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান ০৫ জুলাই সোমবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান জানান, উজিরপুর থানার পরিদর্শকের (তদন্ত) বিরুদ্ধে নারী আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়াও এই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলা করেছেন থানার ওসি। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হবে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ জুন বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জামবাড়ি এলাকা থেকে বাসুদেব চক্রবর্তী নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২৭ জুন বাসুদেবের ভাই বরুণ চক্রবর্তী উজিরপুর মডেল থানায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন। সেখানে ওই নারীসহ (৩০) অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ থেকে ছয় জনকে আসামি করা হয়। ওই নারীর সঙ্গে বাসুদেবের পরকিয়া ছিল বলে দাবি করেন বরুণ চক্রবর্তী। পরে মামলার আসামি হিসেবে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থানা পুলিশের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৩০ জুন বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উজিরপুর আমলী আদালত ওই নারীর দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ২ জুলাই শুক্রবার তাঁকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় ওই নারীকে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখে এর কারণ জানতে চান আদালত। ওই নারী পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন। আদালত একজন নারী কনস্টেবল দিয়ে পরীক্ষা করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পান। এরপর আদালত আইন অনুযায়ী তাঁর বিবৃতি লিপিবদ্ধ করেন। পাশাপাশি আদালত তাঁর যথাযথ চিকিৎসা এবং নির্যাতনের বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে। এরই মধ্যে হাসপাতাল পরিচালক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন, যাতে আঘাতের চিহ্নের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।##

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network