আপডেট: আগস্ট ১৫, ২০২১
আপডেট:
শাহ আলম খান,বেনাপোল প্রতিনিধিঃ ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।
দিকে দিকে আজ অশ্রুগঙ্গা রক্তগঙ্গা বহমান
তবু নাহি ভয়, হবে হবে জয়, জয় মুজিবুর রহমান।’
আজ ১৫ই আগষ্ট আর আগস্ট মাস এলেই মনের অজান্তেই এক করুন নির্মম ইতিহাস ভেসে উঠে বাঙালি জাতির মনে। বোবা কান্নায় হৃদয়ে অশ্রু সিক্ত হয় প্রিয় নেতা হারানোর।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে যশোরের শার্শা উপজেলার ৩নং বাহাদুরপুর ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৫ই আগষ্টের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানটি শুরুতেই পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা ইমরান হোসেন ও মাওলানা শাহীনুর রহমান।
রবিবার (১৫ আগষ্ট) আসর বাদ ০৩নং বাহাদুরপুর ইউনিয়নেো অন্যতম নেতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মফিজুর রহমান এর সভাপতিত্তে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও আলোচনার মধ্যে দিয়ে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম সাহাদাত বার্ষিকী ও জাতিয় শোক দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কৃষক লীগের সাঃ সম্পাঃ লিয়াকত আলী ভান্ডারী, ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন, যুবলীগ সভাপতি কামাল মোল্লা, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিয়ার রহমান, জাহাঙ্গীর হোসেন, নেয়ামত আলী, সাকের আলী সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এসময় প্রধান অতিথি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মফিজুর রহমান বলেন, আজ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসের নৃশংসতম ও বর্বরোচিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের দিন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী।১৯৭৫ সালের এই দিনে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য কর্তৃক ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বাসভবনে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে খুন হন,। যার মধ্য দিয়ে বাঙালির ইতিহাসে সংযোজিত হয় এক কালিমালিপ্ত অধ্যায়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতীক। তিনি বাংলার মাটি ও মানুষের পরম আত্মীয়, ইতিহাসের বিস্ময়কর নেতৃত্বের কালজয়ী স্রষ্টা, বাংলার ইতিহাসের মহানায়ক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। উন্নত সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্নদ্রষ্টা।
অনুষ্ঠান শেষে মাওলানা মশিউর রহমানের মোনাজাতের মধ্য দিয়ে উক্ত অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।