১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

লভ্যাংশের ৮০ শতাংশ ব্যয় করা হবে পথশিশুদের জন্য

আপডেট: আগস্ট ১৬, ২০২১

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার:
আমরা যদি আমাদের চারপাশে তাকাই তাহলে দেখতে পাই আমাদের দেশে পথশিশুর কি করুন অবস্থা ! খুব বেশি দূরে না আমাদের বরিশাল নগরীর দুই-একজন পথশিশুর জীবন কাহিনী দেখি। বেশিরভাগ পথশিশুদের থাকেনা কোন পিতা-মাতার পরিচয় । তারা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়, হকারি করে, মানুষের কাজ করে দেয় কিংবা মানুষের কাছে চেয়ে যে টাকা পায় তা দিয়ে দু’বেলা দু’মুঠো খেয়ে দিন পার করে দেয়। আবার ভিন্ন চিত্র‌ও দেখা যায় অনেকে দু’মুঠো দুবেলা খেতে না পেরে চুরির পথ‌ও বেছে নেয়। গত দুই দিন আগের দুপুরের দিকে ৩-৪ বছরের একটা ছেলে বাদাম বিক্রি করছে। মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বলতেছে ভাই আমার থেকে বাদাম নেন। তাকে দেখার পর স্বভাবতই কৌতূহল জাগে এরপর তাকে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলে উওর গুলো ঠিক এরকম দুপুরে কি খাওয়া দাওয়া করেছো,ছেলেটি না ভাই।
বাদাম বিক্রি করেও কেন ?
তোমার মা বাবা নাই ?
ছেলেটি : ভাই বাবা ছিল সে আর একজনকে বিয়ে করে চলে গেছে। মা আছে সে অন্যের বাসায় কাজ করতো। কয়েকদিন ধরে বাসায় জ্বরে পড়ে আছে কাজ করতে পারে না। তাই বাদাম বিক্রি করতেছি। বরিশালে বর্তমানে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি।এখন এই ছেলের মায়ের যে করোনা হয়নি এর কি নিশ্চয়তা আছে। দুর্ভাগ্যবশত এই ছেলের মা যদি মৃত্যুবরণ করে তাহলে এর ভবিষ্যৎ কি ?
এরপরে বরিশাল লঞ্চ ঘাটের আশেপাশে কিংবা মুক্তিযোদ্ধা পার্কে গেলেই আপনি যেকোন সময় পথশিশুদের দেখা পাবেন। সেখানে তারা রাত্রে লঞ্চ টার্মিনালে রাত যাপন করে। থাকার কোনো জায়গা নেই । তাদের গায়ে দেওয়ার মতো শীতের কোন গরম পোশাক নেই। এক্ষেত্রে তাদেরকে কেউ যদি জিজ্ঞেস করে –
ভাই তোমরা কোথা থেকে আসছো ?
তোমাদের বাড়ি কোথায় ?
বাবা-মা কোথায়?
তারা বলে, ভাই আমাদের বাবা মার পরিচয় জানি না আমরা চাঁদপুর থেকে লঞ্চে কিংবা ঢাকা সদরঘাট থেকে আসছি এই জায়গায় । এখনে থাকি কয়েক দিন কাটাই ।
তোমাদের দিন কিভাবে কাটে ?
লঞ্চে যাত্রীদের কাছে পানি বিক্রি করি এ দিয়ে যে টাকা হয় আর মানুষের কাছে চেয়ে যে টাকা পাই তা দিয়ে দিন চলে যায়।
এক জন স্বেচ্ছাসেবী দুপুরের দিকে বরিশাল লঞ্চঘাট থেকে বাসায় যাচ্ছিল এমতাবস্থায় তার কাছে ৫২ টাকা ছিল । এমত অবস্থায় দুজন শিশু এসে তার পা জড়িয়ে ধরে বসে পরলো। বলতেছে ভাই দুপুরে কিছু খাই নাই আমাদের কিছু টাকা দেন খাবো। তো ওনার কাছে যে টাকাটা আছে সেটা তার রিস্কা ভাড়া অতিরিক্ত কোন টাকা নেই। এমত অবস্থায় ও শিশুটিকে প্রথমে দুই টাকার নোট দিলো সে নিবে না দুই টাকা দিয়ে কি খাব বলেন? আশেপাশের লোকজন তাকিয়ে রইল ।ঐ স্বেচ্ছাসেবী অপ্রীতিকর অবস্থা করলো । শিশু দুটি নাছোড়বান্দা টাকা না দিলে পা ছাড়বে না। এখন কি করার কতখন সে পকেট থেকে বের করে ৫২ টাকা সবটাই দিয়ে দিলো তারপর সে হাটতে হাটতে বাসায় গেল। এ তো গেল শুধু বরিশালের দুই একটা ঘটনা সারা বাংলাদেশ জুড়ে কত হাজার হাজার এরকম পথশিশু আছে আমরা কি কখনো খুঁজে দেখেছি।
এদের ভবিষ্যৎ কী?
এসব জিনিস চিন্তা করে শখের জুরি অনলাইন শপিং সেন্টারের একটি ভিন্নধর্মী উদ্যোগ।
শখের ঝুড়ি অনলাইন শপিং সেন্টার এর নামে একটি অনলাইন প্লাটফর্মের এক ভিন্ন উদ্যোগ। শখের ঝুড়ি অনলাইনে বিভিন্ন রকমের পণ্য সামগ্রী বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান। এখানে মানুষের প্রয়োজনীয় দৈনন্দিন জিনিস পাওয়া যায়।শখের ঝুড়ি অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম ইতোমধ্যে মানুষের গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করায় তাদের কার্যক্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে । তারা তাদের সকল বিক্রিত পন্যের লাভ্যাংশ থেকে ৮০ শতাংশ পথশিশুদের জন্য ব্যয় করবে বলে ঠিক করেছে। ঠিক এমন তথ্য জানিয়েছেন শখের ঝুড়ির এমডি – মোঃ আল শাহরিয়ার ফাহিম।
উক্ত কার্যক্রমে সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে এসেছে ইয়ুথ ফোরাম ফর সোশ্যাল জাস্টিস নামে একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন। ইয়ুথ ফোরাম ফর সোস্যাল জাস্টিস বিভিন্ন রকমের পরিবেশবাদী আন্দোলন এবং শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ পথ শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন রকমের কাজ করে থাকে।
ইয়ুথ ফোরাম ফর সোশ্যাল জাস্টিস এর সম্পাদক জানান উক্ত কার্যকমকে সাধুবাদ জানিয়ে তারা এক হয় কার্যক্রম সম্পাদনের ইচ্ছা পোষণ করেন।
এক্ষেত্রে যে সকল কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে তারমধ্যে পথশিশুদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করা , যে সকল পথশিশুরা না খেয়ে থাকে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা, নিরাপদ আশ্রয় এবং যেসব শিশুরা শিশুশ্রম করে জীবন পরিচালনা করে তাদের সঠিক পথে নিয়ে আসা উল্লেখযোগ্য।
এর মাধ্যমে ইয়ুথ ফোরাম ফর সোস্যাল জাস্টিস একজন পথশিশুর ও সুন্দর ভবিষ্যত গড়ে দিতে পারে তাহলে তাদের সার্থকতা।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network