আপডেট: অক্টোবর ২৫, ২০২১
এম ইসমাইল, ভোলা সদর।।
মা ইলিশ রক্ষার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে। তাই শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন ভোলার তিন লক্ষাধিক জেলেরা। খুলতে শুরু করেছে বন্ধ থাকা বরফকলগুলোও। ফের জেলে, পাইকার ও আড়তদারদের হাকডাকে মুখর হবে মাছ ঘাটগুলো।
ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা, কাটির মাথ, তুলাতলী, নাছির মাছি, ভোলার খাল ও শিবপুরসহ বিভিন্ন মাছঘাটে জেলেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।কেউ জাল বুনছেন, কেউ নৌকায় রং করছেন আবার কেউ কেউ নৌকা-ট্রলার মেরামতে ব্যস্ত।
ভোলার কাটির মাথা এলাকার শফিক মাঝি বলেন, গতকাল রাতে আমার নৌকার সব ভাগিকে বলেদিয়েছি, আজকে সকল সকাল ঘাটে চলে আসতে।এখন আমি বাগিদের কে নিয়ে জাল ও নৌকা প্রস্তত করছি।আল্লাহ যদি বাচায়ে রাতের দিগে নদীতে মাঝ ধরতে যামু। এতে আশা রাখি অনেক মাছ পামু। কারণ এই বছর পরিপূর্ণভাবে অভিযান মানে হচ্ছে।
ভোলার ইলিশা মাছঘাট এলাকার দুলাল মাঝি বলেন, সরকার নদীত ২২ দিনের অভিযান দিচ্ছে এবং আমরাও অভিযান মানছি। এহন ২২ দিনের অভিযানের পড়ে আমরা গাঙ্গে মাছ ধরতে নামব। নদীত জলদস্যু ও চাঁদাবাজরা আমাগো গরিব জেলেগো জ্বালাইতাছে। সরকার যদি হেগোরে একটু দমাইতে পারে তয় আমরা শান্তিতে জাল বাইতে পারি।
ভোলার খাল মাছ ঘাটের আড়তদার মনির মেম্বার বলেন, সরকারের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে যাচ্ছে আজ মধ্যরাতে। আমাদের ঘাটের জেলেরা মাছ ধরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। রাতের জোয়ায়ে জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে সকালে আসলে বুঝা যাবে নদীতে কি পরিমান মাছ পাওয়া যায়।
ভোলা জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মো. এরশাদ ফরাজি বলেন, ৪ অক্টোবর থেকে সরকার নদীতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ঘোষণার পর পরই ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর জেলেরা শতভাগ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলেছেন। জেলেরা এখন নদীতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আশা করছি এবার জেলেরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সক্ষম হবে। তানাহলে ঋণের চাপে জেলেরা পথে বসে পড়বে।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২১ দিনে জেলায় ৩৪২টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৯৯ জেলের জেল-জরিমানা করা হয়েছে। ১১৮ জেলের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ২৮১ জনের জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ৭ লাখ ৫৭ হাজার মিটার অবৈধ জাল এবং ২ হাজার ১৫৩ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১১ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা।