আপডেট: মার্চ ২, ২০২২
গৌরনদী প্রতিনিধি \ ঠিকাদারের গাফিলতির কারনে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ধামুরা খালের উপর গার্ডার ব্রিজ নির্মানে ধীরগতির কারনে চরম ভোগান্তিতে পরেছে ঐতিহ্যবাহী ধামুরা বন্দরের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীরা।
উজিরপুর উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে ধামুরা খালের আয়রন ব্রিজটি ট্রলারের সাথে ধাক্কা লেগে খালের মধ্যে ভেংগে পরে। ওই বছরই ব্রিজটি নির্মানের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। পরবর্তীতে এলজিইডির আইবিআরবি প্রকল্পের আওতায় ৩ কোটি ৭৩ লাখ তিন হাজার দুইশ’ ৬৫ টাকা ব্যয়ে ধামুরা খালের উপর ৪৪ মিটার গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। এতে বরিশাল নগরীর মেসার্স আমির ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল কার্যাদেশ পায়। কার্যাদেশের এক বছরের মধ্যে (অর্থাৎ ২০২০ সালের ১৭ এপ্রিল) ব্রিজটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ব্রিজ নির্মাণের শুরু থেকেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ধীরগতিতে নির্মাণ কাজ চালিয়ে আসছেন। ব্রিজের গার্ডার নির্মাণের পর দীর্ঘদিন কাজ ফেলে রাখে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। ব্রিজের অধিকাংশ কাজই বর্তমানে অসমাপ্ত রয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি কবে নাগাদ কাজ শেষ করতে পারবে তা কেউই বলতে পারছেনা। তারা আরও জানান, বরিশালের বাসিন্দা ঠিকাদার আমির হোসেন মূলত কি কারনে জনগুরুত্বপূর্ন এ ব্রিজটির নির্মান কাজ ধীরগতিতে চালাচ্ছেন তা খতিয়ে দেখে ব্রিজের নির্মান কাজ সম্পন্ন করার দাবী জানান।
শোলক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ধামুরা বন্দর ব্যবসায়ি কমিটির সভাপতি ডাঃ আব্দুল হালিম জানান, নৌ-পথে পণ্য পরিবহনের জন্য ধামুরা খালটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। খালটি দিয়ে শরিয়তপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, ও পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন বন্দরের ব্যবসায়ীরা ট্রলারে পণ্য পরিবহন করতো। এছাড়াও উন্নয়ন কাজের জন্য বালুবাহী জাহাজগুলো এ খালটি দিয়ে যাতায়ত করে। ঠিকাদারের খেমখেয়ালীপনায় গত চার মাস যাবত গুরুত্বপূর্ন ধামুরা খালে নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পরেছেন ব্যবসায়ী সহ সাধারণ মানুষ।
এবিষয়ে জানতে ঠিকাদার আমির হোসেনের ০১৭৪৮৯৯১১৫১ নম্বরে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ না করা বক্তব্য নেয়া যায়নি।
ঠিকাদারের গাফিলতির সত্যতা স্বীকার করে বরিশাল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ মোঃ জামাল উদ্দিন জানান, ব্রিজটির দুইবার ডিজাইন পরিবর্তন করা হয়েছে এবং খাল দিয়ে বালুবাহী ট্রলার চলাচলের কারনে কাজ পিছিয়ে প্রায় তিনমাস। তবে অতি দ্রুত ব্রিজ নির্মানের কাজ সম্পন্ন হবে।