আপডেট: জানুয়ারি ১১, ২০২৩
তারিখঃ ১১ জানুয়ারী ২০২৩
গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় প্রাইমারি স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর হাতে এক গৃহবধু লাঞ্চিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের পূর্ব গোলখালী গ্রামে। বুধবার (১১ জানুয়ারী) লাঞ্চিত গৃহবধু ছফুরা বেগম (৫০) এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমাদের একই বাড়ির দক্ষিন পূর্ব গোলখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী (দপ্তরী) মো. অলিল তালুকদার কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চড়াও হয়ে অতর্কিতভাবে তার হাতে থাকা দাও দিয়ে আমার গলার উপর কোপ দেয়। আমি মাথা সরিয়ে নিলে উক্ত কোপ আমার কানের উপর পড়ে কান কেটে যায়। এতে আমি তার হাত থেকে বাঁচার জন্য ডাকি চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে অলিল দায়ের পিছনের অংশ দিয়ে আমাকে এলোপাথালীভাবে পিটাতে থাকে। এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার মো. নুর উদ্দিন জানান, ছফুরা বেগমের কানের লুতরি ছিড়ে যায়। তার কানে কয়েকটি সেলাই লেগেছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে কালো কালো দাগ আছে। সে আমার চিকিৎসাধীনে ৩য় তলার ২২ নম্বর বেডে ভর্তি আছে। আহত ছফুরা বেগমের স্বামী মো. বাবুল তালুকদার বলেন, ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী অলিল তালুকদার আমাদের উপর অনেক অত্যাচার করে। সে মানুষকে মানুষ বলে মনে করে না। চাকুরি করে নাকি তার হাত অনেক বড় হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর রোজ শনিবার বেলা দেড়টার দিকে আমার বসতঘরে ঢুকে আমার স্ত্রীকে সে বেধম মারধর করেছে। আমি থানায় মামলা করেছি। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছি। এ বিষয়ে মো. অলিল তালুকদারের কাছে জানার জন্য মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। দক্ষিন পূর্ব গোলখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হারুন মিয়া বলেন, অলিল আমাদের স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী। মারধরের বিষয় আমি জানি না। সে যদি কাউকে মারধর করে থাকে তাহলে বিষয়টি দুঃখজনক এবং আইন তার বিচার করবে। এ বিষয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সবুজ হাওলাদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।