১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

৫৫ বছর পর গোপালগঞ্জে নদীর সাথে কংশু খালের সংযোগ স্থাপন

আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

দীর্ঘ ৫৫ বছর পর গোপালগঞ্জে নদীর সাথে কংশুরে খালের সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। পাকিস্তান আমলে মধুমতি বিলবুট চ্যানেলের (কাটা মধুমতি নদী) ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় এই খালের মুখটি বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া, দূর্গাপুর, কাজুলিয়া ও কাঠি ইউনিয়নের অন্তত ৩৫ টি গ্রামের কৃষক চাষাবাদে ক্ষতির সম্মুখীন হন। এসব গ্রামের কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে প্রশাসন খালটি নদীর সাথে সংযোগের উদ্যোগ গ্রহন করেন। পরে ২০০ মিটার দীর্ঘ খালটি খানন করা হয়।

আজ শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে সংযোগ স্থাপনের শুভ উদ্বোধন করে জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম। পরে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুনন্নাহার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহসিন উদ্দিন, সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো: মামুন খান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফইজুর রহমান, উলপুর ইউনিয়নের কামরুল হাসান বাবুলসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় করপাড়া ইউনিয়নের কৃষক কৃষক মো: ফুল মিয়া খান (৪৫) বলেন, পানির অভাবে আমাদের চাষাবাদ করতে কষ্ট হতো। অনেক জমি অনাবাদি থাকতো। এখান নদীর সাথে খালে সংযোগ হওয়ায় আমাদের অনে ক উপকার হবে।

একই এলাকার কৃষক মো: হাফিজুর মোল্লা (৫৫) বলেন, জমির পানি নদীতে নামার ব্যবস্থা না থাকায় এসব এলাকার কৃষি জমিতে স্থায়ী জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এই খালটির সাথে ১২টি খালে সংযোগ রয়েছে। নদীর সাথে খালটির পুন:সংযোগ স্থাপন হওয়ায় এই সব ইউনিয়নে কৃষি উৎপাদন বাড়বে। এখন আর ভুগর্ভস্থ পানির উপর নির্ভর করতে হবে না। তাই কৃষি উৎপাদনে খরচ কমবে।

একই এলাকার একরাম আলী খান (৬৫) বলেন, এখন থেকে খাল পাড়ের বাসিন্দারা খালের পানি দিয়ে দৈনন্দিন কাজ সারতে পারবে। চাষাবাদে ব্যবহার করতে পারবে কংশুর খালসহ এই খালের সাথে সংযোগ অন্যান্য খালের পানি। এতে মানুষ উপকৃত হবে।

করপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নোয়াব আলী ফকির বলেন, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী ছিলো এই খালটির বন্ধমুখ নদীর সাথে সংযোগ স্থাপন। দীর্ঘ বছর পর এলাকাবাসীর দাবী পুরণ হলো। এতে এলাকাবাসী খুশি। এলাকার কৃষকদের মধ্যে আনন্দ বয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় করপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ও গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এসএম নজরুল ইসলাম বলেন, এই খালটির বন্ধমুখ নদীর নদীর সাথে সংযোগ স্থাপন হওয়ায় করপাড়া, দুর্গাপুর, কাজুলিয়া ও কাঠি ইউনিয়নের অন্তত ৩৫টি গ্রামের কয়েক হাজার কৃষকরা জন্য আশির্বাদ হয়েছে। খালটির মুখ বন্ধ থাকায় এসব ইউনিয়নের অনেক জমিতে স্থায়ী জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আর শুষ্ক মৌসুমে ইরিবোরো আবাদে সেচ দিতে পানির সংকটে পড়তে হতো এলাকার কৃষকদের। এখন আর পানির সংকট হবে। এখন সকল জমি চাষের আওত্তায় আসবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফইজুর রহমান বলেন, এই খালটির মুখ দীর্ঘ ৫৫ বছর বন্ধ ছিলো। আজ খালটি নদীর সাথে সংযোগ স্থাপন করা হলো। এতে খালটিতে জোয়ারভাটা সৃষ্টি হবে। শুষ্ক মওসুমে সেচ কাজে এই খালে পানি ব্যবহৃত হবে। আগে ভুগর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমবে। হাজার হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত ফসল উৎপাদিত হবে।

জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, নদীর সাথে খালটির পুন:সংযোগ স্থাপন হওয়ায় এলাকায় চাষাবাদের উন্নয়ন ঘটবে। অনাবাদি জমিতে আবাদ হবে। এতে বাড়তি ফসল উৎপাদিত হবে। দেশ খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বনির্ভর হবে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network