১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

রংপুরে কুখ্যাত মাদক দম্পতি গ্রেফতার

আপডেট: মার্চ ১০, ২০২৩

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর।
রংপুর নগরীর গোলজার আলী ও রোকসানা বেগম দম্পতি এসময় বস্তিতে থাকতেন। গোলজার আলী রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু মাদক ব্যবসায় জড়িত হয়ে গত ১৫ বছরে হয়েছেন কয়েক কোটি টাকার মালিক। রংপুর নগরীর ৬টি গুরুত্বপূর্ণস্থানে ৭০ শতক জমির প্লট কিনেছেন। ব্যাংক ব্যালেন্স রয়েছে ২২ লাখ টাকার ওপর। কোটিপতি মাদক ব্যবসায়ী দম্পতিকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে রংপুরের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। তাদের বিরুদ্ধে বৈধ আয়ের প্রমাণ না পাওয়ায় মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে তাদের।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, নগরীর তাজহাট থানা এলাকার আশরতপুরে বসবাস করেন এই দম্পতি। রাজশাহীর গোদাগারীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে হিরোইন পাচার করে রংপুরের বিভিন্ন এলাকায় খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করতেন গোলজার আলী ও রোকসানা বেগম। তাদের লক্ষ্য ছিল স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ নগরীর বিভিন্ন বয়সী মানুষ। তারা মাদক বিক্রি করে অল্পদিনেই কোটিপতি হয়ে যান। তাদের বিরুদ্ধে ৯টি মাদকের মামলা রয়েছে। এর মধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক আলী আসলাম হোসেন জানান, গোলজার আলী ও রোকসানা বেগম মাদক মাদক ব্যবসায়ী। তারা রিকশায় ফেরি করে মাদক ব্যবসা করে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন। যেগুলোর আয়ের কোনো বৈধ উৎস নেই। তাই তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তাদের বাড়িতে অভিযান চালাতে গিয়ে কিছু কাগজপত্র হাতে আসে। সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখি তারা কয়েক কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন। মেট্রোপলিটন এলাকায় ৪২ শতক জায়গার সন্ধান পেয়েছি। এ ছাড়াও তাদের দুটি বহুতল ভবনের ভিত্তি দেওয়া বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। তারা এসব সম্পদ আয়ের কোনো বৈধ নথিপত্র দেখাতে পারেনি। সব মাদক বিক্রির টাকায় গড়েছেন।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network