নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বরিশাল নগরে অগ্নিকাণ্ডে আটটি বসতঘর পুড়ে যাওয়ার ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিশিষ্ট সমাজসেবক ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ বরিশাল মহানগর শাখার যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব মাহমুদুল হক খান মামুন। জানাগেছে,
বিসিসি’র ১৯নং ওয়ার্ডের নতুন বাজার আদি শশ্মানের পিছনের এলাকায় শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। অগ্নিকাণ্ডে হতাহত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে ৮ টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে পরিবারগুলো।খবর শোনা গেছে বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি আগুনে পুড়ে যাওয়া নিঃস্ব পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। আজ রবিবার সকালে নগরের নতুন বাজার আদি শ্মশান এলাকায় পু্ড়ে যাওয়া নিঃস্ব পরিবারের খোঁজ খবর নিতে ছুটে যান যুবলীগ নেতা সমাজসেবক আলহাজ্ব মাহমুদুল হক খান মামুন তিনি এসময় নিঃস্ব পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা প্রদান করে ব্যক্তিগত ভাবে আর্থিক সহায়তা করে এবং তিনি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ এর সহ সভাপতি কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি আগুনে পুড়ে যাওয়া নিঃস্ব পরিবারের বসতঘর নির্মান করে দিতে ঢেউটিন ও অর্থ প্রদান করবে বলে প্রতিশ্রুতি প্রদান করে তিনি।বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বেলাল উদ্দিন বলেন, খুব সকালে যখন আগুন লাগে, তখন প্রায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। আগুনের সূত্রপাত বা ক্ষয়ক্ষতি কী পরিমাণ হয়েছে, তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর ১৯ নং ওয়ার্ডের নতুন বাজার আদি শশ্মানের পিছনের এলাকার নিরোদ বাড়ৈয়ের রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী ঘরগুলোয়। এতে নিরোদ বাড়ৈ, সেলিম মিয়া, তপন চন্দ্র, সুনীল চন্দ্র, তরুণ ঘোষ, পেয়ারা বেগম, কালু মিয়া ও জামাল হোসেনের বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।ভুক্তভোগীরা জানান, খুব ভোরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সময় অনেকেই ঘুমিয়ে ছিলেন। তাই কোনো পরিবারের লোকজনই পুড়ে যাওয়া ঘর থেকে কোনো মালামাল বের করতে পারেননি। আগুনে আটটি ঘরের সবকিছুই পুড়ে গেছে। তবে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে হাত দেওয়ায় পার্শ্ববর্তী আরও ৩০ থেকে ৪০টি ঘর রক্ষা পায়। আগুনে আশপাশের আরও কয়েকটি ঘরের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া নিঃস্ব পরিবারের খোঁজ খবর নিতে ছুটে গেলে বিশিষ্ট সমাজসেবক ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ বরিশাল মহানগর শাখার যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব মাহমুদুল হক খান মামুন কে জড়িয়ে সর্বস্ব হারানো পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়ে এবং অভিযোগ করে বলেন আমাদের সিটির মধ্যে এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও কেউ তাদের খোঁজ খবর নিতে আসেনি এখানে শুধু আসে ভোটের সময় জনপ্রতিনিধিরা কিন্তু তাদের এই দুঃসময়ে কেউ ই যখন আসেনি তখন আল্লাহর তরফ থেকেই পানিমন্ত্রী আমাগো এমপি সাহেব খান মামুন ভাইকে পাঠাইছে সে আমাদের বিপদ আপদে সব সময় ই পাশে ছিলো আছে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ ১৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ ফেরদৌস ইসলাম দুলাল, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ ছাত্রলীগ এর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃমাহিদুর রহমান মাহাদ, বরিশাল মহানগর যুবলীগ নেতা মিন্টু চন্দ্র রায়,ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি সাকিব ভূইয়া, বিএম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেন সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা।