আপডেট: মে ২৮, ২০২৩
রিপোর্ট৭১ ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার সদর থানার মাছিহাতা ইউনিয়নের ভাদেশ্বরা গ্রামের একটি পরিবারের যাতায়াতের রাস্তা সিমেন্টের পিলার ও বাশ দিয়ে বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয় স্থানীয় দাঙ্গাবাজরা। এতে পরিবারটি আট (৮) দিন ধরে অবরুদ্ধ জীবনযাপন করছে।
শনিবার (২০ মে) সকাল ১০টার দিকে একই গ্রামের মৃত মুসা মিয়ার ছেলে শহরের মদিনা লাইব্রেরীর মালিক মোঃ সাবের, বোরহান মোল্লা ও তার দুই সন্তান আমানউল্লাহ ও রবিউল্লাহ এবং মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে নিয়ামতউল্লাহরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শোডাউন দিয়ে সিমেন্টের পিলার ও বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে চলে যায়।
এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়। তবে অভিযোগ দায়েরের চারদিন পর পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায় এবং উভয়পক্ষকে থানায় যাওয়ার জন্য বলে। কার্যকরী কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় দিন পার করছে পরিবারটি।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, অভিযুক্তরা গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ঝগড়া লাগিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগ আছে অভিযুক্ত পরিবারটির বিরুদ্ধে। এলাকায় বিভিন্ন প্রভাবশালীদের সাথে যোগ হয়ে তারা তাদের বাড়ির প্বার্শবর্তী বিভিন্ন মানুষের সাথে জমির দাবি করে ঝগড়া ও দাঙ্গা লাগানোর অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি এই গ্রামের মৃত সফিউর রহমানের বাড়ির একমাত্র যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেওয়ায় পরিবারটির কোনঠাসা হয়ে পড়ে। এতে কারও কোন সহযোগিতা না পেয়ে ভেঙ্গে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা।
রাস্তা বন্ধের কারণ হিসেবে জানতে চাইলে অবরুদ্ধ পরিবারটি জানায়, বোরহান মোল্লার সাথে জমিজামা বিরোধ দীর্ঘদিনের। বিভিন্ন সময়ে উভয়পক্ষের আত্মীয় স্বজন ও এলাকার শালিসে বিবদমান বিরোধের রায় শালিসে আমরা উভয়পক্ষ মেনে নেই। কিন্তু শালিসের রায় পরবর্তীতে বাস্তবায়ন করার জন্য বোরহান মোল্লাকে বলা হলে উনি তাতে পাত্তা না দিয়ে উল্টো শালিসের সর্দারগণকে গালিগালাজ করতে থাকেন। বিভিন্ন সময়ে রেললাইনের পাথর দিয়ে বাড়ির উপর ঢিল ছুড়ে। রাস্তা অবরুদ্ধ করার কয়েকদিন আগে থেকে বোরহান মোল্লা, তার সন্তান ও ভাতিজারা বাড়ির পাশে এসে একসাথে সবাইকে হত্যার হুমকি দেয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মেসেঞ্জারে মোশাররফ হোসেনের ছেলে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আজাদ বিদেশ থেকে হুমকি দিয়েছে যারা আমাদের সহযোগিতা করবে তাদেরসহ ৪-৫ টা লাশ ফালিয়ে দিবে।
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল বিকেলে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী পরিবারের ওপর হামলা করে পরিবারের পাঁচ সদস্যকে আহত ও বাড়ির ফটক ভাংচুর করে৷ পরবর্তীতে থানায় দুই পক্ষ অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ মিমাংসা করে একটি তারিখ নির্ধারিত করেন। এতে ভুক্তভোগীরা থানায় আসলেও অভিযুক্তদের পক্ষের কেউ থানা না এসে বেপরোয়া কর্মকাণ্ড করতে থাকে।