আপডেট: আগস্ট ১৮, ২০২৩
স্টাফ রিপোর্টা
বরগুনার বামনা উপজেলার অযোধ্যা গ্রামে দশম শ্রেনীর এক স্কুল শিক্ষার্থীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষন ও ধর্ষনের ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ বামনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করেছে থানাপুলিশ। অভিযুক্তরা হলেন, রামনা ইউনিয়নের অযোধ্যা গ্রামের হাশেম ঘরামীর ছেলে আলআমীন(৩০) ও তার স্ত্রী তাজেনুর বেগম(২৩)।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনায় বামনা থানায় বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীও বাবা। অভিযোগ পেয়ে ওই দিন রাতেই আসামীদের গ্রেপ্তার করেন পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে বরগুনা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের কারো নিজেদের মোবাইল ফোন না থাকায় স্বজনদের সাথে কথা বলার জন্য প্রায়ই প্রতিবেশী অভিযুক্ত আল আমীনের ফোন থেকে কথা বলতো। এই সুযোগে আলআমীন প্রায়ই তাকে কু-প্রস্তাব দিতো। গত ২৮ জুলাই বেলা ৩টার দিকে আলআমীনের স্ত্রী তাজেনুর বেগম তাকে কাঁথা সেলাই করার জন্য ডেকে নিয়ে ঘরের পাটাতনে আসতে বলে। সেখানে আগে থেকেই অভিযুক্ত ধর্ষক অবস্থান করছিলো। তাকে দেখে ওই শিক্ষার্থী নিচে নামতে গেলে স্ত্রী তাজেনুর তাকে বাঁধা দেয় এবং টেনে হিচরে পাটাতনে ফেলে দেয়। সে পরে গেলে ধর্ষক তার পড়নের বন্ত্রখুলে ফেলে তাকে ধর্ষন করেন। এসময় তার স্ত্রী ওই ধর্ষনের ঘটনা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন ও ছবি তুলে রাখেন। এর পর ওই ভিডিও ও ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার তাকে ধর্ষন করে। পরবর্তীতে সে তার প্রস্তাবে পুনরায় রাজি না হলে ওই ধারণ করা ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় তারা।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাবা বিষয়টি জানতে পেরে বামনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী ও তার স্ত্রীকে গত বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করেন। ওই দিন রাতেই তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষন ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা নিয়ে আজ শুক্রবার সকালে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীও বাবা বলেন, অনেকদিন ধরে আমার মেয়েকে লক্ষ করেছি মনমরা। তখন বুঝি নাই। অভিযুক্তরা আমার মান সম্মান ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে। জানিনা এর পর মেয়েটি অবস্থা কেমন হয়। আপনারা আমার মেয়েটিকে রক্ষা করেন। আমি এর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।
বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আমরা অভিযুক্ত স্বামী ও স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের মোবাইল ফোনে ধারণ করা ধর্ষনের ভিডিও পেয়েছি। পরে মামলা নিয়ে অভিযুক্তদের বরগুনা জেল হাজতে পাঠিয়ে দিয়েছি।