১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

বরগুনায় কুকুর আতঙ্ক, স্কুলে যেতে পারছেনা শিশুরা

আপডেট: ডিসেম্বর ৪, ২০২৩

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

বরগুনা জেলা প্রতিনিধি :
কারো গোয়ালের গরু-ছাগল, কারো রান্না ঘরের খাবার, হাস-মুরগি থেকে শুরু করে পথে ঘাটে বৃদ্ধ ও স্কুলগামী শিশুদের ওপর যখন তখন আক্রমণ। এমন ভাবেই বরগুনা সদর উপজেলার খাকবুনিয়ায় কুকুর আতঙ্কে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।

ভুক্তভোগীরা জানান, এ বিষয় স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অবগত করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। তারা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদসহ জেলা প্রশাসনের কাছে এ বিষয় প্রতিকারের দাবি জানিয়েছেন।

নিমতলী মাইঠা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মারুফ বলে, আমি ও আমার সহপাঠীরা কুকুরের কারনে এখন স্কুলে যেতে ভয় পাই। স্কুলে যাওয়া আসার পথে সব যায়গাই হিংস্র কুকুর পথ আগলে রাখে। আমাদের তাড়া করে ও কামড়াতে চেষ্টা করে।

মো. আবুল নামের এক বৃদ্ধ বলেন, আমাকে একা পেয়ে রাস্তার মধ্যে অনেকগুলো কুকুর তাড়া করে। একপর্যায়ে পায়ে কামড় দিলে আমি চিৎকার করলে স্থানীয়রা এসে আমাকে রক্ষা করে। এভাবে কুকুরের আতঙ্কে কতদিন চলবে। বেওয়ারিশ কুকুরগুলো নিধনের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ।

ভুক্তভোগী সোলাইমান বলেন, আমি কুকুরের কামড়ে ভ্যাক্সিন নিচ্ছি তবুও ভয়ে বাইরে নামতে পারছি না। দ্রুত এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত।

হালিমা নামের এক গৃহিণী বলেন, কুকুরে আমাদের হাঁস-মুরগি নিয়ে যায়। বড় বড় মুরগি মেরে ফেলে। ঘরে উঠে আমাদের ভাত তরকারি নষ্ট করে। এই বেওয়ারিশ কুকুরগুলো নিধন করা হোক। আর কারো পালিত কুকুর থাকলে বেল্ট পরিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখুক। নয়তো অন্যের ক্ষতি করলে উল্টো আঘাতে মারা পড়তে পারে।

কৃষক জাফর বলেন, এলাকায় কুকুর বেড়েছে। কয়েকটি কুকুর আমার গরু ও ছাগল কয়েকবার কামড়িয়ে আহত করছে। কুকুরের উপদ্রব এতোটাই অসহ্যকর হয়ে গেছে যে এলাকার প্রায় সকল পরিবারেরই এরা ক্ষতি করছে।

অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক শাহ আলম বলেন, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা কুকুরের জ্বালায় ঠিকমতো স্কুলে আসা যাওয়া করতে পারে না। এ বিষয় আমরা এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যাতে করে সরকারিভাবে হিংস্র কুকুরগুলো নিধন করা হয়।

স্থানীয় চিকিৎসক আব্দুল মালেক খান বলেন, এই এলাকায় কেউ কুকুর পোষে না। এলাকায় কিছু বেওয়ারিশ কুকুর আছে যাদের তাড়া ও কামড়ে ছোট বাচ্চারা এবং বৃদ্ধারা আহত হচ্ছে। কামড়ে আহতরা ভ্যাকসিন নিচ্ছে। অনেকেই চিকিৎসাও নিতে পারেনি। জলাতঙ্কের ভয়ে আছি।

স্থানীয় এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম নাসির বলেন, এ বিষয়ে তারা আমার কাছে মৌখিক ভাবে বলেছে। কিন্তু প্রশাসনিকভাবে ব্যাবস্থা নিতে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে লিখিত আবেদন করতে পারে। আমরা বিষয়টি দেখছি।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network