আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৪
মো: ইমন হোসেন, ঢাবি প্রতিনিধি:
২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান গেইটের দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণ ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় পরিষ্কার করে একটি নান্দনিক উন্মুক্ত লাইব্রেরি তৈরি করেন জাতিসংঘের রিয়েল লাইফ হিরো খ্যাত তানভীর হাসান সৈকত। সৈকতের হাতে গড়া উন্মুক্ত লাইব্রেরির ২য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ।
২য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে তানভীর হাসান সৈকত তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন উন্মুক্ত লাইব্রেরির প্রাঙ্গনে। তিনি তার ফেসবুক পেজে লেখেন, “দেখতে দেখতে উন্মুক্ত লাইব্রেরি ২বছরে পদার্পণ করছে।ভালোবাসার এই প্রাঙ্গণের ২বছর পূর্তিতে উন্মুক্ত লাইব্রেরি প্রস্তুতি নিচ্ছে বর্ণাঢ্য আয়োজনের।মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পর্দা উঠবে আগামীকালের। নাচ, গান, বিতর্ক ও থিয়েট্রিকাল পরিবেশনার সমন্বয়ে উন্মুক্ত লাইব্রেরির প্রাঙ্গণ মুখরিত হবে আপনাদের আগমনে। ফেব্রুয়ারির শুক্রবারে তাই চলে আসুন আমাদের নিবেদন উপভোগ করতে। ভাষার মাসে বাঙ্গালী সংস্কৃতিকে ধারণ করে গড়ে ওঠা এই লাইব্রেরির আয়োজনে নিরাশ হবেন না । দেখা হোক, আড্ডা হোক বইয়ের সাথে গল্প জমুক নাচ, গান, থিয়েট্রিকাল পরিবেশনা ও বিতর্কে।”
এছাড়া উন্মুক্ত লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক মোছাদ্দেক বিল্লাহ উন্মুক্ত লাইব্রেরির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে উন্মুক্ত লাইব্রেরির ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে নিম্নোক্ত গৃহীত কর্মসূচী প্রকাশ করেছেন :
সকাল ১০:০০ – প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন,সকাল ১০:২০ – মঙ্গল নৃত্য পরিবেশন,সকাল ১০:৩০ – উন্মুক্ত লাইব্রেরি দিবস উপলক্ষে র্যালি,বিকাল ৩:৩০ – সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,একক ও দলীয় নৃত্য পরিবেশন, দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন, কবিতা আবৃত্তি ও পারফরম্যান্স
,বিকাল ৫:০০ – আঞ্চলিক বিতর্ক,বিকাল ৫:৩০ – ব্যান্ড মিউজিক (গানপোকা, লেমনেড,অবান্তর, রাশেদ)
এছাড়া উন্মুক্ত লাইব্রেরির নিয়মিত পাঠক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উন্মুক্ত লাইব্রেরির ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের আয়োজনে অংশগ্রহণের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, প্রথম লকডাউনে টিএসসিতে টানা ১২১ দিন ১ হাজার ছিন্নমূল মানু্ষকে দুইবেলা রান্না করে খাবার বিতরণ করে জাতিসংঘ থেকে Real Life Hero স্বীকৃতি অর্জন করেন তানভীর হাসান সৈকত। তার হাতে গড়া এই উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে স্থান পেয়েছে প্রায় ২০০০ এর মতো বই। উন্মুক্ত লাইব্রেরি বিশ্বাস করে মানুষকে চিন্তাশীল করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাঙ্গালী সংস্কৃতি চর্চা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন সবচেয়ে জরুরি উপাদান।