৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

সর্বোচ্চ তাপমাত্র ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি গোপালগঞ্জে তীব্র তাপদাহে বিপযর্স্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন থেকে প্রাণীকূল

আপডেট: এপ্রিল ২০, ২০২৪

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে তীব্র তাপদাহে বিপযর্স্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন থেকে প্রাণীকূল। গত কয়েকদিন ধরে জেলায় চলছে এমন তাপদাহ। ইতিমধ্যে জেলা সর্বোচ্চ তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টি না হওয়া আর প্রচন্ড রোদে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না শ্রমিক, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। আবহাওয়া অফিস বলেছে এমন তাপদাহ চলবে আরো কয়েকদিন। আর বাইরে বের হলে ছাতা আর পানি সাথে রাখার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

চৈত্র শেষে এখন চলছে বৈশাখ। কৃষ্ণচূড়া ডালে ডালে লাল আগুন লাগলেও তা এখন নিষ্প্রভ। সব কিছু ছাপিয়ে সূয্য মামা ধরনীতে ঢেলে দিচ্ছে তার সবটুকু তাপ।

সকালে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে তীব্র রোদ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ রোদ যেন আগুনের ফুলকি হয়ে ঝরছে জেলা জুড়ে। বিশেষ করে দুপুরের পর আগুন ঝরা রোদের তেজে বাইরে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে। ফলে গত কয়েকদিন ধরে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে এমন তীব্র তাপদাহ। এর ফলে গরমে মানুষের পাশাপশি হাঁসফাঁস করছে প্রাণীকূলও। চলমান তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে রিকশা-ভ্যানচালকসহ খেটে খাওয়া দিনমজুরেরা। একটি ভাড়া মারার পর গাছের ছায়ায় আধঘন্টা বিশ্রাম নিতে হচ্ছে তাদের। আর নদী, খাল বা জলাশয়ে নেমে তাপ থেকে বাঁচার চেষ্ঠা করছে প্রাণীকূল। অনেকেই পিপাসা মেটাতে ছুটছে ডাব বা রাস্তার পাশে বসা শরবতের দোকানে। এক গ্লাস শরবত পান করে ঢেকুর তুলছেন পরম তৃপ্তির।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানাগেছে, গত কয়েকদিন ধরে ৩৬ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠা নামা করলেও আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকায় আরো কয়েকদিন ধরে জেলায় তাপদাহ চলবে।

রিক্সা চালক রফিক শেখ বলেন, সকাল ৬টায় রিক্ষা নিয়ে বের হয়েছি। বেলা যত গড়িয়েছে ততই তাপমাত্রা বেড়েছে। তাপ বাড়ার কারনে কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ফলে যাত্রী না থাকায় আয় রোজগার কমে গেছে। যদিও একটা ভাড়া মারলে তারপর আধা ঘন্টা বিশ্রাম নিতে হচ্ছে।

অপর রিক্সা চালক আলাউদ্দিন খান বলেন, তীব্র গরম পড়ছে। একা ভাড়া টানলেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছি। তাই ঘন ঘন ভাড়া মারতে পারছে না। ভাড়া না মারতে পারলে খাবো কি। বৃস্টি না হলে এ তাপ আর কমবে না।

জেলা শহরের পাচুরিয়া এলাকার সৈয়দ আকবর হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন ধরে তীব্র গরম বড়েছে। ছেলে মেয়েদের বাইরে বের হতে দিচ্ছি না। মানা করেছে বাইরে বের না হতে।
গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান বলেন, গোপালগঞ্জ জেলার উপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে ৩৬ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠা নামা করছির। আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপপ্রবাহ পুরো এপ্রিল মাস জুড়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত জেলায় বৃষ্টিপাতের কোন সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টিপাত না হলে এই তাপপ্রবাহ কমার কোন সম্ভাবনা নেই।

গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, ৪০ ডিগ্রীর উপরে তাপমাত্র থাকলে আমরা আশংকা করি অনেকেই হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারে। এব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হবে শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে। আমরা পরামর্শ দিবো, জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বের না হতে। যারা অতিরিক্ত প্ররিশ্রম করে তারা যেন তরল খাবার পান করে। তীব্র গরমে বাইরে বের হলে ছাতা ব্যবহারসহ ঘন ঘন পানি পান কারার পরামর্শও দেন তিনি। #

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network