২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

বশেমুরবিপ্রবিতে নিয়োগবোর্ডকে কেন্দ্র করে খুকৃবির সাবেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ 

আপডেট: মে ১০, ২০২৪

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

নিউজ ডেস্কঃ গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(বশেমুরবিপ্রবি) এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন (এএসভিএম) বিভাগের নিয়োগ বোর্ডের ‘এক্সপার্ট মেম্বার’ হিসেবে আছেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুর রহমান খান। এএসভিএম বিভাগের নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও একটি জাতীয় পত্রিকায় ‘ধর্ষক ও দুর্নীতিবাজ’ সাবেক উপাচার্যের আগমন সম্বলিত লেখা প্রচার করা হয়। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন শিক্ষক – শিক্ষার্থীরা।

দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকটে ভুগছে এএসভিএম বিভাগ। শিক্ষক সংকট থেকে বের হওয়ার জন্য একাধিকবার অবস্থান ও আন্দোলন কর্মসূচি করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বানচাল করতেই এ ধরনের প্রচারণা বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা। এএসভিএম বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আর এস মাহমুদ হাসান বলেন, “আমাদের শিক্ষক সংকট ও ল্যাব সমস্যা দীর্ঘদিনের। এ সকল সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়া হলে সেশনজটসহ বিভিন্ন একাডেমিক সমস্যায় পড়তে হবে শিক্ষার্থীদের”। 

অন্যদিকে আদালতের রায়ের পরে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করার সুযোগ না থাকলেও অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষক-দুর্নীতিবাজ বলায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন খুকৃবির সাবেক এই উপাচার্য। ইতোমধ্যে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ লিপিও ছাপিয়েছে পত্রিকাটি। তবে দেখা গেছে, আদালতে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়ে নি, উলটো আদালত কর্তৃক বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে খুকৃবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শহীদুর রহমান খানকে।

এ ধরনের প্রচারণাকে আদালতের রায়ের উপর মিথ্যাচার করে আদালত অবমাননার পাশাপাশি মানহানি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য।

তিনি এ বিষয়ে বলেন, “বশেমুরবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের নিয়োগ বোর্ডে আমি অনেক আগে থেকেই সদস্য। শুধু বশেমুরবিপ্রবি না, একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বোর্ডের আমি সদস্য। উপাচার্য থাকাকালীন সাধারণত সবার বিরুদ্ধেই কিছু না কিছু অভিযোগ উঠে। কিন্তু একজন ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে যেখানে তাকে দোষী বলার সুযোগ নেই, সেখানে আদালত প্রমাণ না পেয়ে বেকসুর খালাস দেয়া স্বত্বেও আমাকে ধর্ষক বলা হয়েছে, দুর্নীতিবাজ বলা হয়েছে। যা সরাসরি দেশের প্রচলিত আইনের লঙ্ঘন ও আদালত অবমাননার মধ্যে পড়ে”। 

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. হুর-ই-জান্নাত জ্যোতি বলেন, “শহীদুর রহমান স্যার খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য হলেও উনি দেশের একজন নামকরা কৃষিবিদ এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র অধ্যাপক। বশেমুরবিপ্রবির নিয়োগ বোর্ডের আগেই হঠাৎ করে তাকে নিয়ে লেখালেখি দেখতে পাই। তবে আমি বিভাগের চেয়ারম্যান হওয়ার অনেক আগে থেকেই তিনি নিয়োগ বোর্ডের সদস্য”।

উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রিল শিক্ষকদের আপগ্রেডেশনকে কেন্দ্র করে এএসভিএম বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বাতিল হয়।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network